৷৷৶৹
সরবর ভাঞ্জিঅ ডোম্বী খাঅ মোলাণ।
মারমি ডোম্বি লেমি পরাণ॥ ধ্রু॥
রে ডোম্বি! (পরিশুদ্ধাবধূতি নৈরাত্মে!) (রূপাদি বিষয়সমূহরূপ) নগরের বাহিরে তোমার বাসগৃহ। [সেখান হইতে] (ব্রহ্মহুঙ্কারবীজজাত) ব্রহ্মনাড়িকাকে (বোধিচিত্তরূপ বালককে তুমি) ছুঁইয়া ছুঁইয়া যাইতেছ। ওলো ডোম্বি! তোমার সহিত [এখন] আমার সঙ্গ করা কর্ত্তব্য; [কেন না], (তোমার যেরূপ স্বভাব), কাপালিক যোগী কাহ্নও (সেইরূপ) নির্ঘৃণ (লজ্জাদিদোষরহিত) এবং উলঙ্গ। (নির্ম্মাণচক্র নামে) একটি পদ্ম, [তাহার] চৌষট্টিটি দল; বাপুড়ী (জগদ্বীজবপনকর্ত্রী) ডোম্বী তাহাতে চড়িয়া নৃত্য করিতেছে। হালো ডোম্বি! সদ্ভাবে (স্বরূপাশয়ে আমি) তোমাকে জিজ্ঞাসা করিতেছি, (কাহার সংবৃত্তিবোধিচিত্তরূপ) নৌকায়, হে ডোম্বি! তুমি যাতায়াত কর? (তাৎপর্য্য এই যে, কর না।) হে ডোম্বি! (তুমি অবিদ্যারূপ) তন্ত্রী (তাঁত) এবং (বিষয়াভাসরূপ) আবরণকারী চাঙাড়ি বিক্রয় করিয়া থাক, (কিন্তু গুরুপাদপ্রসাদে আমার নিকট ঐ দুইটি জিনিষ বিক্রয় করা তুমি পরিত্যাগ করিয়াছ), (অতএব আমিও) তোমার জন্য (সংসাররূপ এই) নট-পেটিকা ত্যাগ করিয়াছি। তুমি ডোম্বী (নৈরাত্মা), আমি কপালী (তোমার সুখস্বরূপতা পালন অর্থাৎ ধারণ করিতে সমর্থ)। তোমার জন্য আমি হাড়ের মালা গ্রহণ করিয়াছি। এই ডোম্বী (গুরুসম্প্রদায়হীনের শরীররূপ) সরোবর ভাঙ্গিয়া, (বোধিচিত্তরূপ) মৃণাল ভক্ষণ করে। (সংবৃতিশুক্ররূপ) সেই ডোম্বীকে আমি মারিব এবং তাহার প্রাণ লইব (নিঃস্বভাব করিব)।
১১
রাগ পটমঞ্জরী।
কৃষ্ণাচার্য্যপাদানাম্— নাড়িশক্তি দিঢ় ধরিঅ খট্টে।
অনহা ডমরু বাজই বীরনাদে॥
কাহ্ন কপালী যোগী পইঠ অচারে।
দেহনঅরী বিহরই একাকারে॥ ধ্রু॥
আলি কালি ঘণ্টা নেউর চরণে।
রবি শশী কুণ্ডল কিউ আভরণে॥ ধ্রু॥
রাগ দেষ মোহ লাইঅ ছার।
পরম মোখ লবএ মুত্তাহার॥ ধ্রু॥
মারিঅ শাসু নণন্দ ঘরে শালী।
মাঅ মারিআ কাহ্ন ভইল কবালী॥ ধ্রু॥