১৴৹
বাজই অলো সহি হেরুঅবীণা।
সুনতান্তিধনি বিলসই রুণা॥ ধ্রু॥
আলি কালি বেণি সারি সুণিআ।
গঅবর সমরস সান্ধি গুণিআ॥ ধ্রু॥
জবে করহা করহকলে চাপিউ।
বতিশ তান্তিধনি সঅল বিআপিউ॥ ধ্রু॥
নাচন্তি বাজিল গান্তি দেবী।
বুদ্ধ নাটক বিসমা হোই॥ ধ্রু॥
সূর্য্যকে (সূর্য্যনাড়ী বা সূর্য্যাভাসকে) লাউ (করা হইল), শশী (চন্দ্রনাড়ী বা চন্দ্রাভাস) তন্ত্রী [হইয়া তাহাতে] সংলগ্ন হইল, অনাহত-(শূন্যতাধ্বনিরূপ) দণ্ডে (তাহাদিগকে লাগাইয়া, বিষয়-চক্রী) অবধূতির (সহিত) তাহাদিগকে একীকৃত করা হইল। ওলো সখি নৈরাত্মে! হেরুকবীণা বাজিতেছে (উক্তরূপ বীণা দ্বারা, বীণাপাদ ‘শ্রীহেরুক’ এই চারিটি অক্ষরার্থ ঘোষণা করিতেছেন), [তাহাতে] শূন্যতারূপ তন্ত্রীধ্বনি (প্রভাস্বর অনাহতধ্বনি) রুনু রুনু শব্দে বিলসিত হইতেছে। আলি ও কালির (স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের) বেণি (যুক্ততায় উৎপন্ন) সা, রি [প্রভৃতি স্বর] শুনিয়া, সমরসসন্ধি (বীণার যে সকল সন্ধি বা ঘাঁট অঙ্গুলি দ্বারা স্পর্শ করিয়া সুরের সমতা রক্ষা করা হয়, তাহা) গণনা করিয়া, গজবর (চিত্তগজেন্দ্র) যখন করভসকলকে (চিন্তাসঞ্জাত চিত্তগজেন্দ্রের শিশু বা ভাবসকলকে) করভকল (করভকে যিনি কলন বা ধ্বংস করেন, সেই প্রভাস্বর রাহু) দ্বারা চাপিয়া ধরিলেন (আক্রমণ করিলেন, তখন) বত্রিশ তন্ত্রীধ্বনি সমস্তকে ব্যাপ্ত করিল (দেহের দ্বাত্রিংশ নাড়ীতে অবস্থিত দেবতাদের শরীর হইতে শূন্যতাধ্বনি উঠিয়া, ভাব ও অভাব, সমস্তকে ব্যাপ্ত করিল)। (বীণাপাদ তখন) বাজিল (ব্রজধরপদ দ্বারা) নাচিতে লাগিলেন, দেবী (নৈরাত্মা যোগিনী) গান করিতে লাগিলেন। (অতএব) বুদ্ধ [হইয়া যিনি] নর্ত্তক [হন, তাহাতে তাঁহার] বিশ্রাম (নির্ব্বাণ) হইয়া থাকে।
১৮
রাগ গউড়া
কৃষ্ণবজ্রপাদানাম্— তিণি ভুঅণ মই বাহিঅ হেলেঁ।
হাঁউ সুতেলি মহাসুহলীলেঁ॥ ধ্রু॥
কইসণি হালো ডোম্বী তোহোরি ভাভরিআলী।
অন্তে কুলিণজণ মাঝেঁ কাবালী॥ ধ্রু॥