১৵৹
তঁই লো ডোম্বী সঅল বিটালিউ।
কাজণ কারণ সসহর টালিউ॥ ধ্রু॥
কেহো কেহো তোহোরে বিরুআ বোলই।
বিদুজণ লোঅ তোরেঁ কণ্ঠ ন মেলই॥ ধ্রু॥
কাহ্নে গাই তু কামচণ্ডালী।
ডোম্বী ত আগলি নাহি চ্ছিণালী॥ ধ্রু॥
(বজ্রবনিতার অভিষ্বঙ্গবশতঃ) তিন ভুবন (কায়, বাক্, চিত্ত) আমাকর্ত্তৃক অবহেলাক্রমে বাধিত হইয়াছে। (অতএব) আমি মহাসুখলীলায় (যোগনিদ্রায়) সুপ্ত হইয়াছি। হালো ডোম্বি! (পরিশুদ্ধাবধূতিকে!) এ তোমার কি রকম চালাকি? (অসৎ আরোপের দ্বারা তুমি এ কি করিয়াছ?) কুলীন ব্যক্তিকে বাহিরে এবং কাপালিককে [গৃহ]-মধ্যে [স্থান দিয়াছ?] (কু অর্থাৎ শরীরে লীন যে প্রভাস্বর জ্যোতিঃস্বরূপ, তাহাকে অজ্ঞানরস পান করাইয়া বাহ্যে স্থাপিত করিয়াছ এবং ক অর্থাৎ সংবৃত্তিবোধিচিত্তকে যে পালন করে, সেই কাপালিককে বজ্রচিত্তে স্থান দিয়াছ।) লো ডোম্বি! তুমি (অপরিশুদ্ধাবধূতিকারূপে দেব, অসুর ও মনুষ্যাদি ত্রৈধাতুক) সকলকে (মিথ্যাজ্ঞানে নিমজ্জিত করিয়া) বিনাশ করিয়াছ। (আবার অসম্প্রদায়যোগিনীরূপে জগৎরূপ) কার্য্যের কারণ [কল্পনা করিয়া, অন্যান্য যোগীদের] (সংবৃত্তিবোধিচিত্তরূপ) শশধরকে বিনাশ করিয়াছ। (স্বরূপে অনভিজ্ঞ) কেহ কেহ (তোমাকে না জানার জন্য কর্ম্মবশতা প্রাপ্ত হইয়া সংসারদুঃখানুভববশতঃ) তোমাকে বিরূপ (বিরুদ্ধ কথা) বলে। [কিন্তু] (যাঁহারা তোমাকে অক্ষরসুখরূপে জানেন, সেই) বিদ্বজ্জন লোকেরা তোমাকে (সম্ভোগচক্ররূপ) কণ্ঠ হইতে (কখনও) ত্যাগ করেন না। কৃষ্ণাচার্য্য গান করিতেছেন,—হে ডোম্বি! তুমি কর্ম্মচণ্ডালী (কর্ম্মস্থ সাধনসকলের উপায়রূপিণী চণ্ডালিনী), তোমা অপেক্ষা অগ্রবর্ত্তিনী ছিনালী (ছিন্ননাসিকা) আর কেহ নাই, (যেহেতু সত্ত্বভেদ প্রাপ্ত হইয়া, ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বরূপে তুমিই অধিষ্ঠিত রহিয়াছ)।
১৯
রাগ ভৈরবী
কৃষ্ণপাদানাম্— ভবনির্ব্বাণে পড়হ মাদলা।
মণপবণবেণি করণ্ডকশালা॥ ধ্রু॥
জঅ জঅ দুন্দুহিসাদ উছলিআঁ।
কাহ্ন ডোম্বীবিবাহে চলিআ॥ ধ্রু॥
ডোম্বী বিবাহিআ অহারিউ জাম।
জউতুকে কিঅ আণুতু ধাম॥ ধ্রু॥