১৷৷৹
চালিঅ ষষহর গউ ণিবাণে।
কমলিনি কমল বহই পণালেঁ॥ ধ্রু॥
বিরমানন্দ বিলক্ষণ সুধ।
জো এথু বুঝই সো এথু বুধ॥ ধ্রু॥
ভুসুকু ভণই মই বুঝিঅ মেলেঁ।
সহজানন্দ মহাসুহ লীলেঁ॥ ধ্রু॥
পূর্ণ অর্দ্ধরাত্রিতে (চতুর্থীসন্ধ্যায়) (বজ্ররূপ সূর্য্যরশ্মি দ্বারা আমার) কমল (উষ্ণীষকমল, মস্তকস্থ সহস্রদল পদ্ম) বিকশিত হইল। (তখন) বত্রিশ যোগিনী (ললনা, রসনা আদি বোধিচিত্তবহা সূক্ষ্ম দ্বাত্রিংশ নাড়ী, আনন্দসন্দোহবশতঃ) তাহাদের অঙ্গ (শরীর) উনাইয়া তুলিল [উষ্ণতায় ঘর্ম্মোদ্গমের ন্যায় তাহারা শরীর হইতে আনন্দস্রাব করিতে লাগিল]। (সেই সময়) শশধর (বোধিচিত্তরূপ চন্দ্র) অবধূতিমার্গে (বজ্রশিখরে) চালিত হইয়া, রঅণহু (সদ্গুরুর বচনরূপ তত্ত্বরত্নের প্রভাবে আমাকে) সহজানন্দের কথা কহিতে লাগিল। (অবধূতিমার্গে) চালিত শশধর (বজ্রশিখরাগ্রে) নির্ব্বাণ প্রাপ্ত হইল। [তখন] কমলিনী (প্রকৃতিপরিশুদ্ধাবধূতিকা নৈরাত্মা) কমল-(রসরূপ বোধিচিত্তমহাসুখরসে কায়বজ্রকে প্রীণিত করিয়া) প্রণালে (প্রকৃষ্ট নাল, অবধৃতিমার্গে) প্রবহমাণ হইতে লাগিলেন। (এই) বিরমানন্দ বিলক্ষণ (চতুর্থানন্দ দ্বারা) পরিশুদ্ধ। (গুরুর প্রসাদে) যে (যোগীন্দ্র) ইহা বুঝেন, তিনি ইহাতে বোধশীল হয়েন। ভুসুকু বলেন,—মেলেঁ (প্রজ্ঞা ও উপায়ের মিলন দ্বারা) সহজানন্দরূপ মহাসুখ (সদ্গুরুপ্রসাদে) আমি অবলীলাক্রমে বুঝিয়াছি।
২৮
রাগ বলাড্ডি
শবরপাদানাম্— উঁচা উঁচা পাবত তহিঁ বসই সবরী বালী।
মোরঙ্গিপীচ্ছ পরহিণ সবরী গিবত গুঞ্জরী মালী॥ ধ্রু॥
উমত সবরো পাগল সবরো মা কর গুলী[ব্যাখ্যা ১] গুহাডা[ব্যাখ্যা ২] তোহৌরি।
ণিঅ ঘরিণী নামে সহজ সুন্দারী॥ ধ্রু॥