১৷৷৵৹
নাশ করিলেন)। গুরুবাক্যকে (গুরূপদিষ্ট জ্ঞানকে) ধনু (পুঞ্চআ) করিয়া, নিজ মনকে (বোধিচিত্তকে) বাণ করিয়া, এক শরসন্ধানে পরম নির্ব্বাণকে বিদ্ধ কর, বিদ্ধ কর। (জ্ঞানানন্দপানরূপ) গুরুতর রোষে উন্মত্ত হইয়া শবর গিরিবরশিখরের সন্ধিদেশে প্রবেশ করিলেন। [সেখান হইতে] শবর কিরূপে লড়িবেন? (তাৎপর্য্য—আর তিনি লড়িবেন না]।
২৯
রাগ পটমঞ্জরী
লুইপাদানাম্— ভাব ন হোই অভাব ণ জাই।
আইস সংবোহেঁ কো পতিআই॥ ধ্রু॥
লুই ভণই বট দুলক্খ বিণাণা।
তিঅ ধাএ বিলসই উহ লাগে ণা॥ ধ্রু॥
জাহের বাণচিহ্নরূব ণ জাণী।
সো কইসে আগম বেএঁ বখাণী॥ ধ্রু॥
কাহেরে কিস ভণি মই দিবি পিরিচ্ছা।
উদকচান্দ জিম সাচ ন মিচ্ছা॥ ধ্রু॥
লুই ভণই মই ভাইব কিস।
জা লই অচ্ছম তাহের উহ ণ দিস॥ ধ্রু॥
[বস্তুসকলের যে] ভাব (সত্তা), [তাহা] (তত্ত্ব) হয় না; (কেন না, একটি পিণ্ড গ্রহণপূর্ব্বক তাহার অণুসকল ভেদ করিলে, ভাবের কোনও উপলব্ধি থাকে না)। অভাবকেও (তত্ত্বরূপে পাওয়া) যায় না; (কেন না, সে ত একেবারে অসৎ)। [ভাব ও অভাব, এই দুই বিকল্পের] এইরূপ সংবোধ—সম্যক্ বোধ হইলে, তদ্দ্বারা (বিকল্পময় জগতে) কে [যাথার্থ্য] প্রত্যয় করিতে পারে? লুই বলিতেছেন—(তত্ত্ব)-বিজ্ঞান (বালযোগীর) দুর্লক্ষ্যই বটে। (যেহেতু) [সহজতত্ত্ব] (কায়-বাক্-চিত্তরূপ) তিন ধাতুতে ক্রীড়া করে, অথচ ঐ ত্রিধাতুতে সংলগ্ন হয় না। যাহার বর্ণ, চিহ্ন ও রূপ (কিছুই) জানা যায় না, আগম ও বেদ-(শাস্ত্র দ্বারা) সেই [তত্ত্ববস্তু] কিরূপে ব্যাখ্যা করা যায়? (অতত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি) প্রশ্ন করিলে, আমি [কি উত্তর] দিব এবং কাহাকে কি প্রকারে [তত্ত্বের কথা] বলিব? যেমন জলে প্রতিবিম্বিত চন্দ্র সত্যও নহে, মিথ্যাও নহে। লুই বলিতেছেন—(ভাব্য, ভাবক ও ভাবনা, এই তিনের অভাব হওয়ায়) আমি আর কাহার [ভাবনা] ভাবি? যাহাকে (যে চতুর্থ রূপটিকে) লইয়া আছি, তাহারও উদ্দেশ দেখিতেছি না।