১৸৶৹
অবস্থা কিরূপ, তাহা বলিতেছেন]। দারিক অলক্ষ্যলক্ষণচিত্ত[ব্যাখ্যা ১] [হইয়া] মহাসুখে, গগনান্তে পারিমকুলে বিহার করিতেছেন। রে (বালযোগি!) তোমার মন্ত্রজপেই বা কি, তন্ত্রপাঠেই বা কি, ধ্যান এবং [শাস্ত্র]-ব্যাখ্যানেই বা কি [হইবে?] মহাসুখলীলায় অপ্রবিষ্ট [তোমার নিকট] পরম নির্ব্বাণ দুর্ল্লক্ষ্য [রহিয়াছে]। [জাগতিক] দুঃখ ও সুখকে (পরমার্থসত্যের সহিত) একীকৃত করিয়া, দারিক ইন্দ্রিয় ও তদুৎপন্ন (বিষয়) ভোগ করে। (এই উপায়ে) সমস্তই অনুত্তর-[স্বরূপ, এই তত্ত্ব) মনন করিয়া, (এই সংসারে আর সে) স্ব, পর, অপর, [এইরূপ ভেদদৃষ্টিতে] জাগ্রত হয় না। ওরে! [আমি] রাজা—রাজা—রাজা। অপর (যে সকল নাগেন্দ্রাদি দেবগণ) রাজা, [তাহারা] (বিষয়মোহে) বদ্ধ। লুইপাদপ্রসাদে দারিক দ্বাদশ ভুবনে (বুদ্ধের সদৃশ আধিপত্য) লাভ করিয়াছে।
৩৫
রাগ মল্লারী
ভাদেপাদানাম্— এত কাল হাঁউ অচ্ছিলোঁ স্বমোহেঁ।
এবেঁ মই বুঝিল সদ্গুরুবোহেঁ॥ ধ্রু॥
এবেঁ চিঅরাঅ মকুঁ ণঠা।
গঅণসমুদে টলিআ পইঠা॥ ধ্রু॥
পেখমি দহ দিহ সর্ব্বই শূন।
চিঅ বিহুন্নে পাপ ন পুন্ন॥ ধ্রু॥
বাজুলে দিল মো লক্খ ভণিআ।
মই অহারিল গঅণত পসিআ॥ ধ্রু॥
ভাদে ভণই অভাগে লইআ।
চিঅরাঅ মই অহার কএলা॥ ধ্রু॥
(অনাদি সংসারে) এত কাল (বহু কল্পান্তকাল) আমি (বাহ্য বিষয়সঙ্গরূপ) স্বগত মোহ দ্বারা [বশীভূত ছিলাম]। এখন আমি সদ্গুরুপ্রদত্ত জ্ঞান দ্বারা (চিত্তের স্বরূপ) বুঝিলাম। (বজ্র ও পদ্মের সংযোগরূপ অক্ষর সুখে) এখন আমার চিত্তরাজ নষ্ট হইয়া গিয়াছে [মোহভাব ত্যাগ করিয়াছে এবং] গগনসমুদ্রে (প্রকৃতিপ্রভাস্বরে) ঘুরিয়া প্রবিষ্ট হইয়াছে। (সর্ব্বধর্ম্মের অনুপলম্ভরূপ যোগ দ্বারা এখন আমি) দশ দিক্ সবই শূন্য
- ↑ চিত্ত হইতে সর্ব্বদা কিছু না কিছু উৎপন্ন হইতেছে; এই জন্য উৎপাদ বা উৎপন্ন হওয়াকে চিত্তের লক্ষণ বলা হয়। যে চিত্তের সেই লক্ষণ অলক্ষ্য হইয়া যায়, তাহাকে অলক্ষ্যলক্ষণচিত্ত বলে।