২৵৹
করিবার) অবকাশ নাই। [আর এই ধর্ম্ম] যে বুঝে, তাহার গলদেশে (সংসাররূপ) গলপাশ (বাঁধা আছে)। [কেন না, এই ধর্ম্ম মাত্র বুঝিবার নয়, অনুভব করিবার ধর্ম্ম]।
৩৮
রাগ ভৈরবী
সরহপাদানাম্— কাঅ ণাবড়ি খাণ্টি মণ কেড়ুআল।
সদ্গুরুবঅণে ধর পতবাল॥ ধ্রু॥
চীঅ থির করি ধরহু রে নাই।
অন উপায়ে পার ণ জাই॥ ধ্রু॥
নৌ বাহী নৌকা টাণঅ গুণে।
মেলি মেল সহজে জাউ ণ আণেঁ॥ ধ্রু॥
বাট অভঅ খাণ্টবি বলআ।
ভব উলোলেঁ বিষঅ বোলিআ॥ ধ্রু॥
কুল লই খর সোন্তে উজাঅ।
সরহ ভণই গঅণেঁ সমাঅ॥ ধ্রু॥
কায়কে নৌকা, [তাহার] খুঁটিতে [বদ্ধ] মনকে (মনের পঞ্চবিধ বিজ্ঞানকে) বৈঠা এবং সদ্গুরুর বাক্যকে হাইল [করিয়া] ধর। রে (সরহপাদ!) চিত্তকে (পঞ্চজ্ঞানাত্মক, বিলক্ষণশোধিত সংবৃতিবোধিচিত্তকে) স্থির করিয়া (ভবজলধিমধ্যে) কায়নৌকাকে ধারণ কর (রক্ষা কর)। কেন না, এই নৌকা ভিন্ন] অন্য [কোনও] উপায়ে (ভবসমুদ্রের) পারে যাওয়া যায় না। (বাহ্য জগতে নাবিক) নৌকা বাহে এবং গুণের দ্বারা টানিয়া নেয়, (কিন্তু এই কায়নৌকা বাহা সেরূপ নহে)। (সহজানন্দপ্রাপ্তির উপায় বজ্রগুরুর সহিত) মিলিত হইয়া, (কায়নৌকা পরিত্যাগপূর্ব্বক) [বজ্রগুরুর সহিত] সহজানন্দে মিলিত হও। অন্য [কোনও উপায়ে] সহজানন্দে যাইতে পারিবে না। এই পথ অভয় পথ; (কিন্তু পানাহার ও বিষয়াসক্তিবশতঃ সাধক এই পথ হইতে ভ্রষ্ট হইলে চন্দ্র ও সূর্য্যরূপ দুই) খড়্গধারী দস্যু বলবান্ হইয়া উঠে। [তাহাতে] ভব-(সমুদ্র) বিষয়রূপে উল্লোলিত হইয়া, (তদ্দ্বারা নৈরাত্মধর্ম্ম সর্ব্বপ্রকারে) খণ্ডিত হইয়া যায়। [সুতরাং তুমি] কুলকে (চন্দ্রাদি কুমার্গ যাহাতে লয় প্রাপ্ত হয়, সেই প্রকৃতিপরিশুদ্ধাবধূতিকাকে) গ্রহণ করিয়া, (মহাসুখরাগরূপ) খর স্রোতে উজাইয়া চল (ঊর্দ্ধে চল)। সরহ বলেন,—[তুমি] (বৈমল্যচক্রদ্বীপরূপ) গগনে প্রবেশ কর।