২৷৶৹
তাহা) নাই। ভুসুকু [এই] আশ্চর্য্য [কথা] বলেন, রাউতু [এই] আশ্চর্য্য [কথা] বলেন,—সকল (ভাবের) ইহাই স্বভাব (স্বরূপ)। ওরে! তাহাতে (সেই গম্ভীর সহজানন্দানুভবে) ভাব ও অভাব-(রূপ বিকল্প) নাই; [অতএব] (জিনসংসারকারাগারে কোনও যোগী) আসেও না, যায়ও না।
৪৪
রাগ মল্লারী
কঙ্কণপাদানাম্— সুনে সুন মিলিআ জবেঁ।
সঅল ধাম ঊইআ তবেঁ॥ ধ্রু॥
আছহুঁ চউ খণ সংবোহী।
মাঝ নিরোহেঁ অণুঅর বোহী॥ ধ্রু॥
বিন্দু ণাদ ণ হিএঁ পইঠা।
আণ চাহন্তে আণ বিণঠা॥ ধ্রু॥
জথাঁ আইলেঁসি তথা জান।
মাসং থাকী সঅল বিহাণ॥ ধ্রু॥
ভণই কঙ্কণ কলঅল সাদেঁ।
সর্ব্ব বিচুরিল তথতানাদেঁ॥ ধ্রু॥
শূন্যে (তৃতীয় স্বাধিষ্ঠানশূন্যে, বজ্রগুরুর অধিষ্ঠানবশতঃ) শূন্য (চতুর্থ শূন্য) যখন (নিজেই আসিয়া) মিলিয়া যায়, সেই সময়ে সকল ধর্ম্ম (যুগনদ্ধমূর্ত্তি দর্শনের ফল) উদিত হয়। (সেই হেতু বিচিত্রাদি) ক্ষণ দ্বারা চতুর্থানন্দকে সম্বোধিত করিয়া (আমি) অবস্থিত আছি। [তার পর] মধ্যমার নিরোধ দ্বারা (সপ্ত প্রকৃতিদোষরূপ সমাধিমল ধ্বংস করিয়া) (আমি) অনুত্তর বোধি (লাভ করিলাম)। বিন্দু (উপায়গ্রাহক জ্ঞানবিকল্প), নাদ (প্রজ্ঞাগ্রাহ্য জ্ঞানবিকল্প) [আমার] হৃদয়ে প্রবিষ্ট হয় নাই (এই উভয়কে আমি পরিত্যাগ করিয়াছি)। (অতএব) অন্যকে (সর্ব্বধর্ম্মের অনুপলম্ভকে) দেখিতে দেখিতে, অন্য (চিত্তের জাগ্রদবস্থা) বিনষ্ট হইয়াছে। যে স্থান হইতে [তুমি] আসিয়াছ (যে বোধিচিত্ত হইতে তুমি প্রথমে উৎপন্ন হইয়াছ), তথায় (বিষয়বিকল্পরহিত সেই নিজবোধিচিত্তে) [গিয়া, তাহাকে] জান। [পরে] মাংসে[ব্যাখ্যা ১] [নিজ বোধিচিত্তের শক্তিতে, প্রতিষ্ঠিত] থাকিয়া, [সেই শক্তিসহায়ে] (চতুর্থসুখসংবেদনস্বরূপ প্রাপ্তির) সকল [প্রতিবন্ধক] হনন কর। কঙ্কণ বলেন,—(বালযোগীদের সাকার নিরাকার ইত্যাদি যে) কল-কল শব্দ, তথতানাদের (শূন্যতাসিংহনাদের) দ্বারা সে সব বিচূর্ণ হইয়া গেল।
- ↑ ২৩ সংখ্যক চর্য্যাতেও ‘শক্তি’ অর্থে ‘মাংস’ শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে।