সুজ লাউ সসি লাগেলি তান্তী।
অণহা দাণ্ডী বাকি কিঅত অবধূতী॥
বাজই অলো সহি হেরুঅ বীণা।
সুন তান্তি ধনি বিলসই রুণা॥ [পত্রাঙ্ক ৩০]
২৩। কুক্কুরিপাদ
ইনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন এবং অনেকগুলি বজ্রযানের পুস্তক লিখিয়া গিয়াছেন। আমরা তাঁহার দুইটি গান পাইয়াছি; তাতে ৯টি সংস্কৃত, ৭টি সংস্কৃত হইতে উৎপন্ন, ৫৯টি পুরাণ বাঙ্গালা ও ১৪টি চলিত বাঙ্গালা কথা আছে। আমরা যে সকল ক্রিয়াপদের শেষে ‘ল’ বলি, ইনি প্রায় সে সমস্ত স্থলে ‘ড়’ ব্যবহার করিয়াছেন এবং ‘ভণতি’র স্থলে ‘ভণথি’ করিয়াছেন।
দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই।
রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাঅ॥
আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী।
কানেট চৌরি নিল অধরাতী॥
কোড়ি মাঝেঁ একুড়ি অহিঁ সনাইড়॥ [পত্রাঙ্ক ৫]
২৪। অদ্বয়বজ্র
ইনি অনেকগুলি বাঙ্গালা বই লিখিয়া গিয়াছেন; ইঁহার বাড়ী বাঙ্গালায় ছিল। ইঁহার প্রধান বাঙ্গালা গ্রন্থ ‘দোঁহানিধিকোষপরিপূর্ণগীতিনামনিজতত্ত্বপ্রকাশটীকা,’ ‘দোঁহাকোষহৃদয়-অর্থগীতাটীকানাম,’ ‘চতুরবজ্রগীতিকা’। সুতরাং অদ্বয়বজ্র বৌদ্ধ-সংকীর্ত্তনের একজন পদকর্ত্তা ছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই; কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা এ পর্য্যন্ত তাঁহার একটি বাঙ্গালা গানও পাই নাই।
২৫। লীলাপাদ
ইনি ‘বিকল্পপরিহারগীতি’ নামে বৌদ্ধকীর্ত্তনের একখানি পদাবলী তৈয়ারি করিয়াছেন। গ্রন্থখানার অনুবাদ তেঙ্গুরে আছে।
২৬। স্থগণ
ইনি কানেরিন্ বা আর্য্যদেবের বংশধর। ইনি রত্নাকরশান্তি-লিখিত একখানি সহজযানের গ্রন্থের টীকা লিখিয়াছেন। এঁর বাঙ্গালা বইএর নাম ‘দোঁহাকোষতত্ত্বগীতিকা’।