২৭। মৈত্রীপাদ
‘গুরুমৈত্রীগীতিকা’ নামে ইঁহার একখানি বাঙ্গালা পদাবলী আছে।
২৮। গুরুভট্টারক ধৃষ্টিজ্ঞান
ইঁহার দুইখানি বাঙ্গালা পদাবলী আছে। একখানির নাম ‘বজ্রগীতিকা,’ আর একখানির নাম ‘গীতিকা’।
২৯। মাতৃচেট
ইনি মহাযান-সম্প্রদায়ের একজন বড় গুরু। তাঁহার ‘কণিকলেখ’ ইতিহাসপ্রসিদ্ধ। আমরা যে মাতৃচেটের কথা বলিতেছি, ইনি তাহার অন্ততঃ সাত শত বৎসর পরের লোক। ইঁহার বৌদ্ধ সংকীর্ত্তনের পদাবলীর নাম ‘মাতৃচেটগীতিকা’।
৩০। বৈরোচন
বৌদ্ধদিগের মধ্যে বৈরোচন নাম প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায়। ইঁহাদিগের মধ্যে একজনের ‘আচার্য্যবৈরোচনগীতিকা’ নামে পদাবলী আছে।
৩১। নাড় পণ্ডিত
নাড় পণ্ডিতকে ভুটিয়ারা নারো বলে। ভুটিয়ারা ইঁহাকে সিদ্ধ পুরুষ বলিয়া পূজা করিয়া থাকে। ওয়াডেল সাহেব তাঁহার ভুটিয়া বৌদ্ধধর্ম্মের ইতিহাসে নাড় পণ্ডিতের চেহারা দিয়াছেন। গোঁফ-দাড়ি কামানো, মাথায় লম্বা চুল, ঠিক যেন আমাদের এখনকার বাউল-সম্প্রদায়ের লোক। ইনি হেরুক ও হেবজ্র প্রভৃতি যুগনদ্ধমূর্ত্তির উপাসক ছিলেন। ইঁহার প্রভাব এককালে ভারতবর্ষ ও তিব্বতে ছড়াইয়া পড়িয়াছিল। ইঁহার তিনখানি পদাবলী আছে, দুইখানির নাম ‘বজ্রগীতিকা,’ আর একখানির নাম ‘নাড়পণ্ডিতগীতিকা’।
৩২। মহাসুখতাবজ্র
ইনি ‘শ্রীতত্ত্বপ্রদীপতন্ত্রপঞ্জিকারত্নমালা’ নামে তত্ত্বপ্রদীপের একখানা টীকা লেখেন। ইঁহার পদাবলীর নাম ‘মহাসুখতাগীতিকা’।
৩৩। নাগার্জ্জুন
মহাযান-সম্প্রদায়প্রবর্ত্তক এবং শূন্যবাদের প্রধান আচার্য্য ইতিহাসখ্যাত নাগার্জ্জুন খ্রীষ্টের দুই শতকে বর্ত্তমান ছিলেন। আমাদের নাগার্জ্জুন তাঁহার অনেক পরের লোক। এ্যাল্বেরুনি বলেন যে, তাঁহার এক শত বৎসর পূর্ব্বেও একজন নাগার্জ্জুন ছিলেন। নেপালে একটি গুহা আছে, উহার নাম নাগার্জ্জুনগুহা। উহা চন্দ্রগড়ি পাহাড়ের একটি দুর্গম অংশে অবস্থিত। আমাদের নাগার্জ্জুন বোধ হয়, বেরুনি-কথিত শেষ নাগার্জ্জুন। ইঁহার সংকীর্ত্তনের পদাবলীর নাম ‘নাগার্জ্জুনগীতিকা’।