অথ চৌরাসীসিদ্ধ বর্ণনা—
গ্রন্থকার চৌরাসীসিদ্ধের বর্ণনা করিতেছেন; কিন্তু মাত্র ৭৬টি নাম পাওয়া যায়।
১ মীননাথ, ২ গোরক্ষনাথ, ৩ চৌরঙ্গীনাথ, ৪ চামরীনাথ, ৫ তন্তিপা, ৬ হালিপা, ৭ কেদারিপা, ৮ ধোঙ্গপা, ৯ দারিপা, ১০ বিরূপা, ১১ কপালী, ১২ কমারী, ১৩ কাহ্ন, ১৪ কনখল, ১৫ মেখল, ১৬ উন্মন, ১৭ কাণ্ডলি, ১৮ ধোবী, ১৯ জালন্ধর, ২০ টোঙ্গী, ২১ মবহ, ২২ নাগার্জ্জুন, ২৩ দৌলী, ২৪ ভিষাল, ২৫ অচিতি, ২৬ চম্পক, ২৭ ঢেণ্টস, ২৮ ভুম্বরী, ২৯ বাকলি, ৩০ তুজী, ৩১ চর্প্পটী, ৩২ ভাদে, ৩৩ চান্দন, ৩৪ কামরী, ৩৫ করবৎ, ৩৬ ধর্ম্মপাপতঙ্গ, ৩৭ ভদ্র, ৩৮ পাতলিভদ্র, ৩৯ পলিহিহ, ৪০ ভানু, ৪১ মীন, ৪২ নির্দ্দয়, ৪৩ সবর, ৪৪ সান্তি, ৪৫ ভর্ত্তৃহরি, ৪৬ ভীষণ, ৪৭ ভটী, ৪৮ গগনপা, ৪৯ গমার, ৫০ মেণুরা, ৫১ কুমারী, ৫২ জীবন, ৫৩ অঘোসাধব, ৫৪ গিরিবর, ৫৫ সিয়ারী, ৫৬ নাগবালি, ৫৭ বিভবৎ, ৫৮ সারঙ্গ, ৫৯ বিবিকিধজ, ৬০ মগরধজ, ৬১ অচিত, ৬২ বিচিত, ৬৩ নেচক, ৬৪ চাটল, ৬৫ নাচন, ৬৬ ভীলো, ৬৭ পাহিল, ৬৮ পাসল, ৬৯ কমল-কঙ্গারি, ৭০ চিপিল, ৭১ গোবিন্দ, ৭২ ভীম, ৭৩ ভৈরব, ৭৪ ভদ্র, ৭৫ ভমরী, ৭৬ ভুরুকুটী।
সুতরাং মুসলমান-বিজয়ের পূর্ব্বে বাঙ্গালা দেশে একটা প্রবল বাঙ্গালা-সাহিত্যের উদয় হইয়াছিল। তাহার একটি ভগ্নাংশ মাত্র আমি বাঙ্গালী পাঠকের কাছে উপস্থিত করিতেছি। ভরসা করি, তাঁহারা যেরূপ উদ্যম সহকারে বৈষ্ণব-সাহিত্য ও অন্যান্য প্রাচীন সাহিত্যের উদ্ধার করিয়াছেন, ঐরূপ উৎসাহে বৌদ্ধ ও নাথ-সাহিত্যের উদ্ধার সাধন করিবেন। ইহার জন্য তাঁহাদিগকে তিব্বতী ভাষা শিখিতে হইবে, তিব্বত ও নেপালে বেড়াইতে হইবে, কোচবিহার, ময়ূরভঞ্জ, মণিপুর, সীলেট প্রভৃতি প্রান্তবর্ত্তী দেশে ও প্রান্তভাগে ঘুরিয়া গীতি, গাথা ও দোঁহা সংগ্রহ করিতে হইবে। ইহাতে অনেক পরিশ্রম করিতে হইবে, অনেক বার হতাশ হইয়া ফিরিতে হইবে। কিন্তু যদি সংগ্রহ করিতে পারেন, তবে দেখিতে পাইবেন যে, যাঁহারা এ পর্য্যন্ত কেবল আপনাদের কলঙ্কের কথাই কহিয়া গিয়াছেন, তাঁহারা একেবারেই সত্যকথা কহেন নাই।