পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vyro বৌদ্ধধৰ্ম্ম স্থান নানা দৃশ্যের মধ্য দিয়া গমন করে, অথবা দীপশিখা কিয়াৎকাল জলিয়া নিবিয়া যায়-আবার জুলিয়া উঠেতাহাকে পূর্বাপর একই শিখা বলা যায় না, অথচ ভিন্নও নহে। এইরূপে কৰ্ম্মবলে জীবনচক্র নিয়তই ঘূর্ণমান-অথচ বৌদ্ধধৰ্ম্ম আত্মার অনুবৰ্ত্তিত্ব, আমার আমিত্ব অঙ্গীকার করেন না । আমার কৰ্ম্মের স্রোত জীবনে প্ৰবাহিত হইতেছে, কিন্তু । কৰ্ম্ম-কৰ্ত্তা কোন পুরুষ নাই। মোটামুটি, বৌদ্ধধৰ্ম্মের দার্শনিক তত্বের সারাংশ এই--আত্মার পৃথক সত্তা নাই। দেহ এবং আত্মা ও আত্মার উপকরণ সমস্ত মৃত্যু দ্বারা ছিন্নবিচ্ছিন্ন হইয়া যায়; কৰ্ম্মবলে সেই সকল ছিন্ন অবয়ব-খণ্ড সংসারের ক্রীড়াক্ষেত্রে নূতন নূতন জড়পিণ্ড ও জীবাকারে পরিণত হইতেছে - বিশ্বসংসার এই অখণ্ডনীয় নিয়মে চলিয়া আসিতেছে । কোেন্ত সম্প্রদায়ী লোকেরা ( ইংরাজীতে যাদের Positivist বtেল ) তঁাদের মতও কতকটা এইরূপ। তঁহারা ব্যক্তিকে-পুরুষকে সিংহাসনচু্যত করিয়া, তাহার স্থানে মনুষ্যজাতিকে সংস্থাপিত করেন। মানুষ্যের বিনাশ-কিন্তু মানব জাতির অমরতা। মৃত্যুকালে মনুষ্যের দেহমান বিযুক্ত হইয়া আদি ভূতে মিশিয়া যায় ; যাহা অবশিষ্ট থাকে, তাহা তাঙ্গাব সুকৃতি এবং সাধু দৃষ্টান্তঅন্য কথায় কৰ্ম্মবল এবং কৰ্ম্মফল ; তাহা তাহার পরবর্তী সন্তান সস্তুতি ও অন্যান্য লোকের মধ্যে প্রবাহিত হইয়া জনসমাজ সংরক্ষণ এবং তাহার উন্নতি সাধনে সহায়ভূত হয় ।

  • সে যাহাই হউক, এই প্রশ্ন উৎপন্ন হইতেছে, এই কৰ্ম্মৰিল কাহার ? আমার, তোমার, কি অন্য কোন জীবের ? আত্মা