পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । Sey জানিলে, সে মত গ্রাহ করিবেন। অপ্ৰকাশ্য ভাবে মত গ্রহণের এই নিয়ম। (চুল্লবগগ) বর্ষার ৩ মাস ভিক্ষুদের সম্মিলন ও উৎসবের সময় । বিহার ও অন্যান্য আশ্রমে তাহারা এই উৎসবের মাসত্রয় যাপন করি।-- তেন; তখন ধৰ্ম্মালাপ, শাস্ত্রালোচনা, আবৃত্তি প্রভৃতির ধূম লাগিয়া যাইত। শ্রাবকেরা দেশদেশান্তর হইতে আসিয়া বুদ্ধের জাতক উপাখ্যান শ্রবণের পুণ্যার্জন করিতেন, এবং সকলে সন্তাবে মিলিত হইয়া উৎসবে যোগদান করিতেন.। আমার স্মরণ হয়, যখন বোম্বায়ে আমার সার্ভিসের প্রথম, ভাগে আহমদাবাদে কৰ্ম্ম করিতাম, তখন অনেক সময় কৌতুহল্যােক্রান্ত হইয়া ঐ রূপ বর্ষার উৎসবে উপস্থিত হইতাম। উহা জৈনোৎসব, বৌদ্ধদের উৎসব নহে, কিন্তু অনেক বিষয়ে এই উভয়ের সাদৃশ্য আছে । আহমদাবাদ ও অঞ্চলের জৈন সম্প্রদায়ের প্রধান স্থান। চাতুর্মান্ত যাপন, ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ পাঠ ও শ্রবণ, উপবাস ব্ৰত ধারণ প্ৰভৃতি বৌদ্ধ রীতি অনুসারে জৈনদের মধ্যেও বর্ষার উৎসব ক্রিয়া সম্পন্ন হইত । Y বৰ্বোৎসবের শেষে এবং প্ৰব্ৰজনের আরস্তে বৌদ্ধদের এক বার্ষিক সভা ’ হইত, তাহার নাম “প্রবারণ” অর্থাৎ আমন্ত্রণ । এই আমন্ত্রণে ভিক্ষুদল মিলিত হইলে উল্লিখিত প্ৰকার পাপ ও প্ৰায়শ্চিত্ত বিষয়ক কথাবাৰ্ত্তা চলিত। যিনি প্ৰায়শ্চিত্ত-প্ৰাথী, তিনি ভিক্ষু-সঙ্ঘকে সম্বোধন করিয়া বলিতেন → “হে ভিক্ষুগণ ! আমার বিরুদ্ধে যদি আপনার কেহ কিছু দেখিয়া থাকেন, শুনিয়া থাকেন, আমার চরিত্র বিষয়ে কাহারো