পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

90 বৌদ্ধধৰ্ম্ম বলিতেছেন-“যখন আমার পালা আসিল মহাপ্ৰভু আমাকেও আশীৰ্বাদ করিলেন, তখন আমি তঁহার দেবমূৰ্ত্তি দর্শন করিবার সুযোগ পাইলাম।” এই বিবরণে পোপের পদাঙ্গুলি চুম্বনের ন্যায় কোন অনুষ্ঠানের আভাস নাই। এই অনুষ্ঠানের এক প্রধান অঙ্গ-চা-পান । লামারা সকলেই এক এক চায়ের পেয়ালা আপন বস্ত্র মধ্যে গচ্ছিত রাখেন। প্রথমে একজন পরিচারক মহালামার স্বৰ্ণ পাত্রে চা ঢালিয়া পাত্ৰ পূৰ্ণ করিয়া দিল, পরে দর্শকগণের পাত্র পূর্ণ তইলে তাহারা তিনবার পাত্র নিঃশেষ করিয়া নিঃশব্দে পান করিলেন, পরে শূন্য পেয়ালা বক্ষের পকেটজাত করিলেন। তৎপরে একটী ত গুলপূৰ্ণ স্বর্ণখাল মহালামার সম্মুখে আনীত হইল, তিনি তাহা স্পর্শ করিয়া দিলে সেই মহাপ্ৰসাদ ; দর্শকমণ্ডলীর মধ্যে বিতরিত হইল। পরিশেষে বুদ্ধ ধৰ্ম্ম সঙ্ঘ, এই ত্ৰিরিত্নের নামে আশীৰ্ব্ববাদ উচ্চারণের পর দরবার ভঙ্গ হইল। সভাস্থলে একজন লামা, যিনি শরৎ বাবুর পাশে বসিয়াছিলেন, তিনি তাহার কানে কানে কহিলেন-“তুমি পূৰ্ব্বজন্মে না জানি কি পাপ করিয়া এমন দেশে জন্মিয়াচ যেখানে জীবন্ত বুদ্ধ নাই!” তিববতের দালাই লামার অধিকার ধৰ্ম্মরাজ্যেই আবদ্ধ, অথবা এই সঙ্গে তাহার কোন রাজকীয় ক্ষমতা সম্মিশ্ৰিত, এ বিষয় লাইয়া এইক্ষণে অনেক স্থানে অনেক কথা শুনা যাইতেছে । সম্প্রতি রূষ সম্রাটের নিকট ভঁাহার যে দৌত্য গিয়াছে তাহাই এই সমস্ত তর্কবিতর্কের মূল, এবং তাহা হইতে আমাদের রাজপুরুষদের মনে নানা প্ৰকার . সন্দেহ উপস্থিত