পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম। SS0 হওয়া বিচিত্র নহে । মেষ-ভালুকে মিত্রতা-বন্ধনের চেষ্টা দেখিলে লোকের মনে সন্দেহ হওয়াই স্বাভাবিক । “উনবিংশ শতাব্দী” সংবাদ পত্রে একজন ইংরাজ লেখক দালাই লামাকে বশ করিবার এক নূতন উপায় উদ্ভাবন করিয়াছেন। তিনি বলেন, মান্দ্ৰাজ প্রেসিডেন্সির কৃষ্ণা জিলায় যে বুদ্ধদন্তাদি সম্প্রতি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহা উপহার দেওয়া বেশ একটা লামা-বশীকরণ মন্ত্র। আমাদের বিবেচনায় আর কোন উপায় চিন্তা করা আবশ্যক, যাহা বলা হইয়াছে তাহাতে কোন ফলোদয় হইবার সম্ভাবনা নাই । চতুৰ্দশ শতাব্দীর শেষভাগে সং খাপ নামক একজন ধৰ্ম্মসংস্কারক উঠিয়া গালডানে এক প্ৰকাণ্ড মঠ নিৰ্ম্মাণ করেন। এই লামার মৃত্যুর পর ঈহার স্বৰ্গরোহণ উপলক্ষে এক দীপাবলির উৎসব প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। ইনিও বুদ্ধাবতার বলিয়া পূজিত এবং বৌদ্ধ মন্দিরে ইহার প্রতিমূৰ্ত্তি দালাই ও পঞ্চন লামা-প্ৰতিমূৰ্ত্তির মধ্যস্থলে প্রতিষ্ঠিত। এ ভিন্ন আরো কয়েক জন লামাগ্রগণ্য মহালামা আছেন, যথা মোঙ্গোলিয়ার কুরূণ, তাতারের কুকু, পেকিনের মহালামা, ভোটের ধৰ্ম্মরাজ, ( যাহার উপাধিচ্ছিটা আবৃত্তি করিতে কণ্ঠরোধ হয়)-“বুদ্ধশ্রেষ্ঠ, দেবাবতার, শাস্ত্ৰজ্ঞানে অনুপম, বিদ্যায় সরস্বতীসম, পাপহরণ, দানব-মৰ্দন, নীতি-নিপুণ, সর্বধৰ্ম্মশিরোমণি রাজাধিরাজ ধৰ্ম্মরাজ !” নামাবলীর গৌরবে ইনি গৌতম বুদ্ধকেও ছাড়াইয়া উঠিয়াছেন। স্বৰ্গ নরক । বৌদ্ধশাস্ত্ৰে স্বৰ্গ নরক কল্পনা এইরূপ -