পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 文。) করি। আর আমার বিশ্বাস সাধারণ পাঠক-সমাজ এই গ্ৰন্থ থেকে অনায়াসে বিনাক্লেশে সে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এ গ্রন্থ সাধু ভাষায় লিখিত । কিন্তু এ সাধু-ভাষা আজকের দিনে যাকে সাধুভাষা বলে--"সে ভাষা নয় । তত্ত্ববোধিনী সভার সভ্যোরা যে ভাষার সৃষ্টি করেন, এ সেই ভাষা। এ ভাষা। যেমন সরল তেমনি প্ৰাঞ্জল, যেমন শুদ্ধ তেমনি ভদ্র। এতে সমাস নেই, সন্ধি নেই, সংস্কৃত শব্দের অতি-প্ৰয়োগ নেই, অপ-প্ৰয়োগ নেই, দুষ্ট-প্রয়োগ নেই, কষ্ট-প্রয়োগ নেই, বাগাড়ম্বর নেই, বৃথা অলঙ্কার নেই! ফলে এ ভাষা যেমন সুখপাঠ্য, তেমনি जश्छरक्षy । جی আমার শেষ বক্তব্য এই যে, বুদ্ধ-চরিতের তুল্য চমৎকার ও সুন্দর গল্প পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় নেই। জনৈক জৰ্ম্মণ পণ্ডিত Oldenburg, বিদ্রুপ করে বলেছেন যে, বুদ্ধচরিত ইতিহাস নয়, কাব্য। এ কথা সত্য। কিন্তু এ কাব্যের মূল্য যে তথাকথিত ইতিহাসের চাইতে শত গুণে বেশী, তা বোঝবার ক্ষমতা জাৰ্ম্মাণ পাণ্ডিত্যের দেহে নেই। এ কাব্য মানুষের চির-আনন্দের সামগ্ৰী । অতীতে যে বুদ্ধ-চরিত কোটী কোটী মানবকে মুগ্ধ করেছে, ভবিষ্যতেও তা কোটী কোটী মানবকে মুগ্ধ করবে। এ কাব্যের মহত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করবার জন্য পাণ্ডিত্যের কোনও প্রয়োজন নেই, যার হৃদয় আছে ও মন আছে, এর সৌন্দৰ্য্য তার হৃদয় মনকে স্পর্শ করবেই করবে। যে দেশে ভগবান বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, আর যে দেশের লোকে তঁর জীবন-চরিত অবলম্বন করে” বুদ্ধচরিত নামক মহাকাব্য রচনা করেছে—সে দেশও ধন্য,