পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । S@ዓ স্তম্ভিত হইয়া গেল। বুদ্ধদেবকে ইহার কারণ জিজ্ঞাসা করাতে তিনি জিজ্ঞাসুদিগকে কি বলিয়া বুঝাইয়াছিলেন কোন গ্রন্থে তার স্পষ্ট উল্লেখ নাই, কিন্তু তেঁহার বাণী আমার কাণে যাহা বাজিতেছে, তাহা এই :- “আমি অতিথি হইয়া যক্ষের দ্বারে উপস্থিত হইলাম, আমার আতিথ্য সৎকার করা কি তাহার কৰ্ত্তব্য ছিল না ? • তাহাঁ না। করিয়া সে কুৎসিত গালিমন্দ দিয়া আমাকে অভিবাদন করিল। * সৎকারের বদলে তিরস্কার, যেখানে বহুমান দেওয়া উচিত, সেখানে অপমান । আমি সেই অপমান অকাতরে মাথায় তুলিয়া লইয়া শিষ্টাচারে ও সদুপদেশ প্রদানে তাহাকে বশে আনিলাম। সেই অবধি সে আমার শিষ্যত্ব গ্ৰহণ করিয়া সাধু সন্ন্যাসীর মত জীবনযাত্ৰা নির্বাহ করিতে লাগিল। ‘অসাধুকে সাধুতা দ্বারা জয় করিবেক’-এই যক্ষের জীবনে তোমরা তাহার প্ৰত্যক্ষ প্ৰমাণ উপলব্ধি করিলে । আমার এই উপদেশ অনুসরণ করিয়া চলিলে তোমাদের ও মঙ্গল হইবে।” গ্রামবাসীগণ বুদ্ধের কথায় প্রীত হইয়া ঐ স্থানে এই আশ্চর্য ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ এক অপূৰ্ব্বদ বিচার নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিল । আর একটি ঘটনাব এই ৰূপ বর্ণনা আছে- তাহ অঙ্গুলিभविigक বৌদ্ধধৰ্ম্ম 5° { এই লোকটি কৌশলের রাক্ষস তুল্য এক দুৰ্দান্ত ব্যক্তি; চুরি ডাকাতি নরহত্যা করিয়া জীবনযাত্ৰা নির্বাহ কারিত। বুদ্ধদেব নিৰ্ভীকচিত্তে জঙ্গলের মধ্যে তাহার কোটরে গিয়া উপস্থিত হইলেন, এবং ধীর নম্রভাবে তাহাকে সদুপদেশ দিয়া