পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । S\9) বৈশালীতে মহামারীর উপদ্রব।-- তথ্যগতের বুদ্ধত্ব প্ৰাপ্তির তৃতীয় বর্ষায় যখন তিনি রাজগৃহে অবস্থিতি, করিতেছিলেন, সেই সময়ে বৈশালী হইতে তাহার নিকট, লিচ্ছৰী নাগরীকদের এক দৌতা প্রেরিত হয়। দূত বিনাত ভাবে নিবেদন করিল, “ভগবন! ভয়ঙ্কর মহামারীর উপদ্রবে। আমাদের নগর ছারখার হইয়া যাইতেছে । আমরা অনেকানেক উপাধ্যায়ের নিকট গিয়া বহু প্ৰকার চেষ্টা করিয়াছি, কিন্তু কিছুতেই পীড়ার উপশম হয় না। প্ৰভু, আপনার পদধূলি দিয়া আমাদের দেশ রক্ষা করুন” । বুদ্ধদেব বলিলেন, “রাজার অনুমতি হইলে আমি যাইতে পারি” । রাজা বিম্বিসার এই প্ৰস্তাবে দ্বিরুক্তি করিলেন না, কেবল বলিলেন, “আমি আমার রাজ্যের সীমান্ত পর্যন্ত ভগবান বুদ্ধকে পৌছিয়া দিব, পরে তোমরা তাহার যথাযোগ্য আতিথ্য-সৎকার করিবে” । এই বলিয়া রাজধানী হইতে গঙ্গার দক্ষিণ পার পর্যােন্ত যে পথ চলিয়াছে তাহা প্রশস্ত, সুমার্জিত ও পুষ্পমালা এবং রঙীন পতাকা দিয়া সুসজিজত করিয়া দিলেন, এবং স্বয়ং, মন্ত্রী, সভাসদ, পরিজনবর্গ সহ গিয়া তাহাকে গঙ্গাতীর পর্য্যন্ত পৌছিয়া দিলেন। গঙ্গা পার হুইবামাত্ৰ লিচ্ছাবাগণ দলে দলে উপস্থিত হইয়া তাহাকে বহুত সমারোহে রাজধানীতে লইয়া গেল। বুদ্ধদেব ঐ প্রদেশে পদার্পণ করিতে না করিতেই রোগের অপদেবতাগণ দূরে পলায়ন করিল, এবং নগরবাসীদের মধ্যে যাহারা উৎকট পীড়ায় জৰ্জরিত হইয়াছিল, তাহারা প্ৰকৃতিস্থ হইয়া বুদ্ধের জয়জয়কার করিতে লাগিল। বুদ্ধদেব নগরে প্রবেশ করিয়া রত্নসূত্র হইতে পদাবলী