পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৮

*9e R বৌদ্ধধৰ্ম্ম । সাম্যভাব৷ ভ্ৰাতৃসৌহার্দ, বৰ্ণবিচার বর্জনে আপামর সাধারণের জ্ঞান-ধৰ্ম্মে সমান অধিকার, বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম এই সমস্ত উদার নীতি অবলম্বন পূর্বক বৌদ্ধদের নিজের অস্ত্রে তাহাদিগকে মৰ্ম্মাহত করিলেন। অপিচ, বিষ্ণুর দশাবতার অবতারণা করিয়া বুদ্ধাবতারগণকে পদচু্যত করিলেন-শুধু তা নয়, বুদ্ধদেবকেও আপনাদের দেবমণ্ডলী মধ্যে স্থান দান করত আত্মসাৎ করিয়া লাইলেন। দেখুন হিন্দুরা লোকভুলানো মন্ত্রতন্ত্র প্রয়োগে কেমন পটু! তাহারা ধ্যানস্থ বুদ্ধকে যোগাসনারূঢ় মহাদেব গড়িয়া তুলিয়াচেন, কত কত বৌদ্ধতাৰ্থ ও বৌদ্ধক্ষেত্র আপনাদের তীর্থ ও ধৰ্ম্মক্ষেত্রে পরিণত করিয়াছেন, এবং বৌদ্ধদের ধৰ্ম্মক্রিয়া যাত্ৰা মহোৎসবাদিরও অনুকরণ করিয়া হিন্দুধৰ্ম্মের মহিমা বৃদ্ধি করিয়াছেন। বুদ্ধগয়ায় একটি দেবালয়ে এক খানি গোলাকৃতি প্ৰস্তরে দুইটি পদচিন্তু আছে। ঐ দেবালয়ের নাম বুদ্ধপদ ছিল, পরে তাহা বিষ্ণুপদ বলিয়া প্রচারিত হয়। গয়া ও পূর্বেব বৌদ্ধক্ষেত্র ছিল ; পরে একটি প্রধান হিন্দু তীর্থ হইয়া উঠিয়াছে। গয়ামাহান্ত্র্যে সুস্পষ্ট লিখিত আছে, তীর্থযাত্রীরা বিষ্ণুপদে পিণ্ডদান করিবার পূর্বে বুদ্ধগয়া গমন পূর্বক বোধিবৃক্ষকে প্ৰণাম করিবেন। — ধৰ্ম্মং ধৰ্ম্মেশ্বরং নত্ব মহাবোধি তরুং নামেৎ । Š2छा९ (फेरी !- জগন্নাথ ক্ষেত্রের ব্যাপারটিও বৌদ্ধধৰ্ম্মের সহিত বিলক্ষণ সংশ্লিষ্ট । জগন্নাথ বুদ্ধাবতার এইরূপ একটি জনশ্রুতি সৰ্ববত্ৰ প্ৰচলিত আছে। দশাবতারের চিত্রপটে বুদ্ধাবতার স্থলে