পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । రిS{ করিয়া বসিয়াছেন, তাহার উন্ধে পদনিক্ষেপ করেন না। --বড় জোর ভঁাহারা বৌদ্ধ-ভিক্ষুর সমকক্ষরূপে পরিগণিত হইতে পারেন। এই সকল দেবতার আরাধনা পূজাৰ্চনা বৌদ্ধধৰ্ম্মে আদিষ্ট হয় নাই। দেবতারা অমর নহেন, অন্যান্য জীবের ন্যায় তঁহারাও মরণধৰ্ম্মশীল। তবে এইমাত্র বলা যাইতে পারে যে, র্তাহারা নিজ নিজ কৰ্ম্মগুণে উচ্চ হইতে উচ্চতর সোপানে উঠিয়া ক্রমে নির্বাণরাজ্যে-হয়ত বৌদ্ধ অৰ্হৎ মণ্ডলীর g পাইতে পারেন । ব্ৰহ্মাও সেইরূপে কল্পিত । অপর জীবের ন্যায় তিনিও মৃত্যুর অধীন-তিনিও বুদ্ধনির্দিষ্ট সম্মার্গ অবলম্বন করিয়া, কালক্রমে নিৰ্বাণমুক্তি লাভের অধিকারী। সে যাহা হউক, এ কথা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে যে, বৌদ্ধমতে ব্ৰহ্মা ইতরজীব অপেক্ষা বিশেষ প্ৰতিষ্ঠাসম্পন্ন মহাপুরুষ বলিয়া পরিগণিত, সুরবৃন্দের মধ্যে যেমন সুরপতি দেবেন্দ্ৰ। কথিত আছে যে, তাহার পূর্বজন্মে যখন কাশ্যপ বুদ্ধ পৃথিবীতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন, তখন ব্ৰহ্মা সাহক নামক পরম ভক্ত ভিক্ষু বলিয়া প্ৰসিদ্ধ ছিলেন। জাতিক টীকাকার বলেন যে, ব্ৰহ্মা বুদ্ধদেবের ভবিষ্যৎ জন্মধারণ বিষয়ে বিশেষ আগ্রহবান ছিলেন, এবং তৎপরে বোধিসত্ত্বের জীবনে “মার’ রাক্ষস যখন তাহাকে অশেষ প্রলোভন ও বিভীষিকা প্ৰদৰ্শন করিয়া ঘোরতর বিপদে ফেলিবার উপক্ৰম করিয়াছিল, সেই “মার দমনে ব্ৰহ্মা দুইবার সহায়তা করেন। ‘মারা বিজয়ের পর যখন বুদ্ধদেব তঁহার উপার্জিত সত্য প্রচারে সন্দিগ্ধচিত্ত হইয়াছিলেন, তখন ব্ৰক্ষাদেব তঁহার সমক্ষে আবির্ভূত হইয়া, সে সংশয় ভঞ্জন করত, তাঁহাকে সত্য