পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১০৮

>。总 বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম সকল ধ্যানী বুদ্ধ অনাদি ও অনন্ত। ধ্যানী বুদ্ধগণের মন্দির ক্রমে ক্রুপের গায়েই আসিয়া উপস্থিত হইল। অর্থাৎ ধৰ্ম্ম ও তথাগত এক হইয়া গেল । ভূপের গায়ে কুলুঙ্গী কাটা হইতে লাগিল। পূর্বের কুলুঙ্গীতে অক্ষোভ্য বসিলেন, অশ্চিমে অমিতাভ, দক্ষিণে রত্নসম্ভব, এবং উত্তরে অমোঘসিদ্ধি । প্রথম ধ্যানী বুদ্ধ যে বৈরোচন তিনি স্তপের ঠিক মধ্যস্থলে থাকিতেন। এইরূপ চারিটি কুলুঙ্গাওয়ালা স্তােপই অধিক দেখিতে পাওয়া যায়। কিছুকাল পরে প্রধান ধানী বুদ্ধকে এরূপে লুকাইয়া রাখা, লোকে পছন্দ করিল না। দক্ষিণ পূর্ব কোণে আর একটি কুলুঙ্গী করিয়া সেইখানে র্তাহার স্থান করিয়া দিল। পাঁচটি কুলুঙ্গাওয়ালা স্তুপ দেখিতে ঠিক কচ্ছপের মত হইল। আমাদের ধৰ্ম্মঠাকুর কচ্ছপাকৃতি । সুতরাং তিনি এই শেষকালের স্তপেরই অনুকরণ। স্তপ আবার ধৰ্ম্মের প্রতিমূৰ্ত্তি। সুতরাং স্তুপ, ধৰ্ম্ম, এবং কচ্ছপাকৃতি তিনই এক হইয়া গেল। ইহাতেই মনে হয় কচ্ছপাকৃতি ধৰ্ম্মঠাকুর পঞ্চ ধ্যানী বুদ্ধের মূৰ্ত্তির সহিত ধৰ্ম্মমূৰ্ত্তির স্ত প—আর কেহ নহে। এখন জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে-সজন্য কোথায় গেল ? মহাযানে সজঘ বোধিসত্ত্ব রূপ ধারণ করিয়াছিলেন। অনেক বোধিসত্ত্বের স্বতন্ত্র পূজা হইত। এখন ভদ্রকল্প চলিতেছে। এ কল্পে আমিভাভের পালা । অমিতাভের বোধিসত্ত্ব অবলোকিতেশ্বর, তিনিই কৰ্ত্তা, তিনিই জগত উদ্ধার করিতেছেন, তঁর সঙ্গস্ত্ৰ সহস্ৰ নাম, তার সহস্ৰ স্বতন্ত্র মন্দির আছে। স্তুপ হইতে র্তাহাকে এখন পৃথক করিয়া লওয়া श्छेश्वltछ-विन्नङ्ग ७aथन আর নাই। মাত্র ধৰ্ম্মঠাকুর আছেন। ঐ যে বিনোদবিহারী বলিয়াছেন যে ময়নায় পূর্বে একখানি পাথর, ধৰ্ম্মঠাকুর ও শঙ্খ পাওয়া গিয়াছিল। পাথর লোপ পাইয়াছে অর্থাৎ ত্রিরত্বের বুদ্ধ লোপ পাইয়াছেন। শঙ্খও নাই অর্থাৎ সঙ্ঘও নাই। আছেন কেবল ধৰ্ম্মঠাকুর-কচ্ছপাকৃতি । নেপালে প্ৰত্যেক বিহারে ফটকের কাছে দেখিবে, এক একটি হারীতির মন্দির। হারীতিই বসন্তের দেবতা, আমাদের দেশের শীতলা । বিহারবাসী বৌদ্ধভিক্ষুরা শীতলাকে বড় ভয় করিতেন, সেইজন্য র্তাহার হারীতিকে পূজা না দিয়া, বিহারে প্রবেশ করিতেন না। আমাদের এখানেও