পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cर्वाक १र्श्व براo د ( Edict ) থাকে। এখানেও সেইগুলি আছে। অধিকের মধ্যে একটি DBD DBBDB DDDJLB g D LEDBB DBDE SBB DBDB তোষলির লোকদিগকে এই আজ্ঞাগুলি শুনাইয়া দিতে হইবে । সুতরাং অশোকের সময় বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য যে বিশেষ যত্ন করা হইয়াছিল তাহা বেশ বুঝা যায়। অশোকের পরে উড়িষ্যায় বোধ হয়। জৈন-ধৰ্ম্মের প্ৰাদুৰ্ভাব হয়। কারণ উদয়গিরির হাতীগুম্ফায় যে প্ৰকাণ্ড শিলালেখ পাওয়া যায় সেটি জৈন লেখা। খণ্ডগিরিতেও জৈন ধৰ্ম্মের অনেক চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাই বলিয়া বৌদ্ধ-ধৰ্ম্ম সেখানে লোপ হয় নাই। হিয়েন-সাং যখন নালন্দায় পড়িতেছিলেন তখন উড়িষ্যার হীনযানীরা মহাযানীদিগকে কাপালিক বলিয়া গালি দিয়াছিল । হৰ্ষবৰ্দ্ধন ইহাতে অত্যন্ত দুঃখিত হইয়া হিয়েন-সাংকে বিচার করিবার জন্য উড়িষ্যায় পঠাইয়াছিলেন। মহাযান ধৰ্ম্মে যখন নানা দেবদেবীর উপাসনা আরম্ভ হইল- অর্থাৎ বজযান-ধৰ্ম্ম যখন প্রবল হইয়া উঠিল-তখন উড়িষ্যা বজযানের একটি প্রধান কেল্লা হইয়া দাড়াইল । উড়িষ্যার রাজা ইন্দ্রভূতি বজাবারাহীর পূজা প্ৰকাশ করেন, তিনি বিজযানের অনেক পুস্তক লিখিয়া যান। উড়িষ্যা, বাঙ্গালা, মগধ, নেপাল, তিব্বত প্ৰভৃতি দেশে তাহার মতের খুব আদর ছিল । তঁহার এক মেয়ে ছিলেন, নাম লক্ষ্মীঙ্কর । তিনিও বজযানমতের অনেক পুস্তক লিখিয়া গিয়াছেন। উড়িষ্যার তেলি, কায়স্থ প্রভৃতি জাতের লোকেও অনেক পুস্তক লিখিয়াছেন । এই সকল পুস্তকেরই তিব্বতী ভাষায় তৰ্জমা আছে এবং তিববতী লোকে আদর করিয়া পড়ে । ইন্দ্রভূতির পর সোমবংশ, কেশরী’বংশ, গঙ্গবংশ, গজপতিবংশ ও সর্বশেষে তেলেঙ্গ মুকুন্দদেব উড়িষ্যায় রাজত্ব করেন। ইহাদের সময়ে উড়িষ্যায় বৌদ্ধও ছিল, হিন্দুও ছিল । ব্ৰাহ্মণেরও প্ৰতিপত্তি ছিল, বিহারবাসী ভিক্ষুদেরও প্ৰতিপত্তি ছিল ; কিন্তু রাজা হিন্দু হওয়ায় এবং রাজসভায় ব্ৰাহ্মণদিগের প্রতিপত্তি অধিক হওয়ায়, এবং মুসলমান ইতিহাসলেখকের হিন্দু ও বৌদ্ধের ভেদ করিতে না পারায়, উড়িষ্যা হিন্দুর দেশ বলিয়াই পরিচিত হইত। মগধ ও বাঙ্গালার বৌদ্ধপণ্ডিতেরা লোপ হইয়া যাওয়ার