পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম ܘ̇ܘ ܠ উড়িষ্যার বৌদ্ধের অতি হীন ভাবে বাস করিত। নগেন্দ্ৰবাবু যে সকল BDD DgDDDBD BDB DDBDB BB BDB BBSKKBBBDDLD DDB LLLLLL হইতে ১৫৩৩ পৰ্য্যন্ত বৌদ্বদিগের উপর উড়িষ্যায় অত্যন্ত উৎপাত হইয়াছিল। বড় বড় বৌদ্ধগণ বাহিরে বৈষ্ণব সাজিয়া থাকিতেন। কিন্তু তঁহাদের মত চলিত বৈষ্ণবধর্ম হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। তাহার শূন্যপুরুষ * মানিতেন। শূন্য পুরুষকেই বিষ্ণু মনে করিয়া পূজা করিতেন। তঁহারা অলেখ শব্দ সর্বদাই ব্যবহার করিতেন। অলেখ অর্থাৎ অরেখা অর্থাৎ কোন দাগ নাই। নিরঞ্জন শব্দও এই অর্থে ব্যবহার হইয়া থাকে। :- “জয় ধৰ্ম্ম শ্ৰীপুরুষোত্তম। অনাদি স্তুতি পরমব্ৰহ্ম৷ অব্যক্ত পুরুষ নিরাকার হরি। সর্বঘটে আচ্ছ ব্ৰহ্মরূপ ধরি। নাহি রেখা রূপ তোর শ্ৰীবিজ্ঞ পুরুষ। বিষ্ণুর গোচর হইছ প্ৰকাশ৷ মন নয়ন চিত্ত চেতন নাহি তোর । কৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম সৰ্বঠারে সিদ্ধ ন কর। মহামূল্য তোর নাম। ওঁ-কার শব্দ এ যে বেদান্ত আগম।” ( Modern Buddhism-P 41 ) “তোেহর রূপ রেখা নাহি। শূন্য পুরুষ শূন্য দেহী ৷ বোইলে শূন্য তোর দেহে। আবার নাম থিৰ কাহেঁ৷ শূন্য রে ব্ৰহ্ম সি না থাহি। সেঠারে নাম থিবি রহি"|” ( Modern Buddhism-P. 40) • শূন্যবাদ ও ব্রহ্মবাদের কেমন অদ্ভুত মিলন ! যিনি শূন্য, তিনিই ব্ৰহ্ম, তিনিই পুরুষোত্তম। অচ্যুতানন্দ দাস, বলরাম দাস, জগন্নাথ দাস, অনন্ত দাস, যশোবন্ত দাস, ও চৈতন্য দাস-ই হারাই এই বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রধান কবি। অচ্যুতানন্দ দাস প্রতাপরুদ্রের সময় নীলাচলে বাস করিতেন। বলরাম দাস প্রণব গীতা লেখেন এবং মুক্তিমণ্ডপে বসিয়া বেদান্তমতে প্ৰণব গীতার ব্যাখ্যা করেন—তাহাতে ব্ৰাহ্মণের ক্রুদ্ধ হইয়া তাহাকে অনবরত গালি দিতে থাকে। মহারাজ প্রতাপরুদ্র ও রাগান্বিত হইয়া বলেন, “তুই শূদ্ৰ, প্রণব উচ্চারণে ও বেদের ব্যাখ্যায় তোর কি অধিকার আছে ?”