পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম বজাচাৰ্য্যের পাঁচটী অভিষেক হইত, মুকুটাভিষেক, ঘণ্টাভিষেক, মন্ত্রাভিষেক, সুরাভিষেক ও পট্টভিষেক। র্তাহার দেশীয় নাম গুভাজু, অর্থাৎ, তিনি গুরু, তঁহাকে সকলে ভজনা করিবে । সুতরাং শিষ্য হইতে তিনি উপরে উঠিয়া গেলেন। মন্ত্রযানে গুরুকে শিষ্যের “প্ৰসাদ” খুজিতে হইত, বজ্ৰযানে তাহার কোনই দরকার নাই । সহজযানের গুরুর উপদেশই সব। গুরুর উপদেশ লইয়া মহাপাপ কাৰ্য্য করিলেও তা হাতে মহাপুণ্য হইবে । সহজযানের একজন গ্ৰন্থকার বলিতেছেন যে, যে পঞ্চ কাম উপভোগের দ্বারা মুখ লোক বদ্ধ হয়, গুরুর উপদেশ লইয়া সেই পঞ্চকাম উপভোগ করিয়াই সে মুক্ত হইয়া যায়। গুরু। উবএর্সে অমিঅরসু হবহি “ণ পী আই যেহি । বহুসত্তখে মরুখলিহি তিসিএ মরিথই তেহি ৷ “গুরুর উপদেশই অমৃতরস। যে সকল হবারা উহা পান না করে তাহারা বহু শাস্ত্ৰাৰ্থরািপ মরুস্থলীতে তৃষ্ণায় মরিয়া যায়।” গুরুর উপদেশ ভিন্ন সহজ পন্থীদের কোন জ্ঞানই হয় না ; আগম, বেদ, পুরাণ, তপ, জপ সমস্তই বৃথা ; গুরুর উপদেশমাত্ৰই সত্য। আগম বোআ পুৱাণে পংডিত্তিমাণ বহস্তি। পক্কসিলিফলআ আলি বা জিম বহেরির্ত ভমঅন্তি । “যাহারা আগম, বেদ, পুরাণ পড়িয়া আপনাদের পণ্ডিত মনে করিয়া গৰ্ব্ব করে তাহারা পক্ক শ্ৰীফলে আলির ন্যায় বাহিরে বাহিরেই ঘুড়িয়া বেড়ায়” । এইরূপে যতই বৌদ্ধধর্মের পরিবর্তন হইতে লাগিল, গুরুর সম্মানও বাড়িয়া যাই৩ে লাগিল । কালচক্ৰযানে যে গুরুর মান্য কত অধিক তাহা একটি কথাতেই প্ৰমাণ হইয়া যাইবে । লঘুকালচক্ৰতন্ত্রের টীকা বিমলপ্ৰভা যিনি লিখিয়াছেন, সেই পুণ্ডরীক, আপনাকে অবলোকিতেশ্বরের নিৰ্ম্মাণকায় বা অবতার বলিয়া মনে করিতেন। সুতরাং তিনি স্বয়ং অবলোকিতেশ্বর, আর কেহ নহেন। কালচক্ৰযানের পর मश्ख्याCनद्र ♥}ኞ কালচক্ৰযান