পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እህ” খৌদ্ধ ধৰ্ম্ম হইয়া গেল। তাই শঙ্করের পয় মহাকবি শ্ৰীহৰ্ষ গৌতম ঋষিকে ঠাট্টা করিয়া বলিয়াছেন : মুক্তয়ে যঃ শিলাত্বায় শাস্ত্ৰমুচে সচেতসাম। গোতিমং তমবোত্যৈব যথা বিখ তথৈব সঃ।। BDD SB SLDDBB DBBDDS gBBD KBD DDBS SBDS STY শাস্ত্ৰ লিখিয়াছেন, তাহার নামটী সার্থক হইয়াছে। তিনি গোতমই ঘটেন-তাহার মত গরু আর দ্বিতীয় নাই । সাধারণ লোকে বলিবে পাথর হওয়াও বরং ভাল । কেননা, কিছু আছে দেখিতে পাইব । শূন্য হইলে ত কিছুই থাকিবে না। যাহা হোক অশ্বঘোষ যে নির্বাণের অর্থ করিয়াছেন, বুদ্ধদেব পালি ভাষার পুস্তকে উহার যে অর্থ করিয়াছেন, তাহাতে নিৰ্বাণ একটি অনিৰ্বাচনীয় অবস্থা। সুধু বাক্যের অতীত নয়, মানুষের ধারণারও অতীত। এইরূপ অবস্থাকেই কি কাণ্ট ট্রান্সোণ্ডেণ্টাল বলিয়া গিয়াছেন ? কেননা, ইহা মানুষের বুদ্ধি ছাড়াইয়া যায়, মানুষে ইহা ধারণা করিতে পারে না । এরূপ অনির্বচনীয় না বলিয়া, অশ্বঘোষের মতে যে চরম ও আচু্যতপদ আছে, তাহাকে অস্তি বলিয়া স্বীকার কারনা কেন ? কিন্তু অস্তি বলিলে, একটা বিষম দোষ হয়। যতক্ষণ আত্মা থাকিবে, ততক্ষণ “অহং” এই বুদ্ধিটি থাকিবে। অহংজ্ঞান থাকিলেই অহঙ্কার হইল। অহঙ্কার থাকিলেই সকল অনার্থের যা মূল তাই রহিয়া গেল । সুতরাং সে যে আবার জন্মিবে, তাহার সম্ভাবনা রহিয়া গেল। আরও কথা, আত্মা যখন রহিলাই, তখন তাহার ত গুণগুলাও রহিল। অগ্নি কিছু রূপ ও উষ্ণতা ছাড়িয়া থাকিতে পারে না। আত্মা থাকিলে তাহার একত্ব-সংখ্যা থাকিবে । একত্ব-সংখ্যাও ত একটি গুণ । সে আত্মার জ্ঞান থাকিবে ? না, থাকিবেন ? যদি জ্ঞান থাকে, তাহা হইলে জ্ঞেয় পদার্থও থাকিবে, জ্ঞেয় পদার্থ থাকিলেও আত্মার মুক্তি হইল না। আর, আত্মার যদি জ্ঞান না থাকে, তবে *সে আত্মা আত্মাই নয়। সেইজন্যই অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিতে “ বুদ্ধদেব