পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ÅR cबोक वर्ष হইয়া যায়, তখন বোধিচিত্ত রূপ অর্থাৎ শরীরের সম্পর্ক ত্যাগ করিতে 5 রূপ ও শরীরের সম্পর্ক ত্যাগ করিয়া বোধিচিত্ত আরও অগ্রসর হইতে থাকেন। এবার তিনি রূপলোক ছাড়াইয়া উঠিয়াছেন। রূপলোক ছাড়াইয়া অরূপলোকে উঠিয়াছেন। তখন তিনি আপনাকে, সমস্ত বস্তু, এমন কি নীরেট জিনিসটি পৰ্য্যন্ত তিনি আকাশ মাত্র দেখেন, অর্থাৎ সকলই তাহার নিকট অনন্ত ও উন্মুক্ত বলিয়া বোধ হয়। তাহার ' পর আত্মচিন্তা করিতে করিতে র্তাহার সম্পূর্ণ ধারণা হয় যে কিছুই কিছু নয়। এই যে অনন্ত দেখিতেছি, ইহা কিছুই নয়। ইহারও উপর বোধিসত্ত্ব অগ্রসর হইলে তখন তাহার চিন্ত হইল। এই যে কিছুই নয়, ইহার কোন সংজ্ঞা আছে কিনা। যদি সংজ্ঞা 'থাকে। তবে সংজ্ঞীও আছে। কিন্তু সংজ্ঞী ত নাই, সে ত অকিঞ্চন। সুতরাং সংজ্ঞাও নাই, সংজ্ঞীও নাই। ইহার পর বোধিচিত্ত সেই মোচার আগায় উঠিলেন। এই যে ভাপ ইহাই “ত্ৰৈধাতুক লোক” তিনি এখন ইহার মাথার উপর। তাহার চারিদিকে অনন্তশূন্য, আর তঁাহার উঠিবার জায়গা নাই। তিনি সেইখান হইতে অনন্তশূন্যে ঝাঁপ দিলেন। যেমন নুণের কণা জলে মিশিয়া যায়, তাহার কিছুই থাকে না । সেইরূপ বোধিচিত্তও আপনাকে হারাইয়া অনন্তশূন্যে মিশিয়া গেলেন। যেমন সমুদ্রের জলে একটু লোনা আস্বাদ রহিয়া গেল, তেমনি অনন্তশূন্যে বুদ্ধের একটু প্রভাব রহিয়া গেল। তঁহার প্রণীত ধৰ্ম্ম ও বিনয় অনন্তকালের জন্য ত্ৰৈধাতুকলোকের উপর প্রভাব বিস্তার করিতে লাগিল । নিৰ্বাণ বলিতে “নাই” “নাই”ই বুঝায়। এ প্রথম প্রথম বৌদ্ধের এই “নাই” “নাই” লইয়াই সন্তুষ্ট থাকিত । নির্বাণ হইয়া গেলে, একটা অনিৰ্বচনীয় অবস্থা উদয় হইল। ইহাতেই প্ৰথম প্রথম বৌদ্ধের সন্তুষ্ট থাকিত। কিন্তু পরে অনেকে ইহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে পারিলেন না । তাহারা কেবল শূন্য হওয়াই চরম উদ্দেশ্য বলিয়া মনে করিতে পারিলেন না । তাহারা উহার সঙ্গে আর একটা জিনিস আনিয়া ফেলিলেন ; উহার নাম "করুণা”। ইহা যেমন তেমন করুণা নয়, সর্বজীবে করুণা,