পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম R তাহাদিগকে শূন্যতা বুঝান বড়ই কঠিন। তাহারা শূন্যতার বদলে আর একটি শব্দ ব্যবহার করিতেন- সেটি “নিরাত্মা”। নিরাত্মা শব্দটি সংস্কৃত ব্যাকরণে ঠিক সাধা যায় না, কিন্তু এসময় বৌদ্ধের সংস্কৃত ব্যাকরণের গণ্ডীর মধ্যে থাকিতে চাহিতেন না । তাহারা যজমানদিগকে বুঝাইলেন যে বোধিসত্ত্ব যখন স্তপের মাথায় দাড়াইয়া আছেন, তখন তাহারা চারিদিকে অনন্ত শূন্য দেখিতেছেন। এই শূন্যকে তাহারা বলিলেন “নিরাত্মা’, সুধু নিরাত্মা বলিয়া তৃপ্ত হইলেন না, বলিলেন “নিরাত্মাদেবী”, অর্থাৎ নিরাত্মা শব্দটি স্ট্রীলিঙ্গ । বোধিসত্ত্ব নিরাত্মাদেবীর কোলে বাপ দিয়া পড়িলেন । পুরুষ মেয়ের কোলে বঁটাপ দিয়া পড়িলে যাহা হয়, যজমানের সে কথা অনায়াসেই বুঝিতে পারিল ; কেননা সেটা বুবিতে ত কাহাকেও বিশেষ প্ৰয়াস করিতে হয় না । এখন নির্বাণের অর্থ কি দাড়াইল, তাহা আর প্রকাশ করিয়া বলিবার প্রয়োজন নাই। আর ১ ঠিক ঐ সময়েই, যজমানেরা বেশ বুঝিল, মানুষের মন কত নরম হয়, কত করুণায় অভিভূত হয়। সে কথাও তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিতে হইল না। সুতরাং নির্বাণ যে শূন্যতা ও করুণার মিশামিশি, তাহাই রহিয়া গেল, অথচ বুঝিতে কত সহজ হইল। এ নির্বাণেও সেই অনির্বচনীয় •ভাব ও সেই অনন্ত ভাব, দিকেও অনন্ত, দেশেও অনন্ত, কালেও