পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৫০

88 বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম দুজনেই খৃষ্টের পূর্বে ছয় শতের লোক। সুতরাং দীপঙ্কর প্রভৃতি। ২৪জন বুদ্ধ আর ঋষভদেবাদি ২৪ জন তীর্থঙ্ক বা তাম্বাদের অনেক পূর্বে আবিৰ্ভত হইয়াছিলেন। অনেকে বলেন যে শাক্যসিংহের পূর্বে যে ২৩জন বুদ্ধ হইয়াছিলেন, তাহারা মানুষ ননবৌদ্ধের আপনাদের ধৰ্ম্মটা পুৰাণ, তাই দেখাইবার জন্যই ২৪টা নাম করিয়া রাখিয়াছে। কিন্তু শাক্যসিংহের পূর্ববৰ্ত্তী কনকমুনির খাম্বা পাওয়া গিয়াছে, যেখানে তাহার নির্বাণ লাভ হয় তাহ স্থির হইয়াছে ; তেঁাহাকে । মানুষ নয় বলা এখন কঠিন হইয়া দাড়াইয়াছে। এখনকার নেপালী বৌদ্ধের বলে চারিযুগে আটজন মানুষ বুদ্ধ। বিপষ্ঠী ও শিপী সত্যযুগে, কাশ্যপ ও বিশ্বভু ত্রেতাযুগে, ক্রবুচ্চনদ ও কনকমুনি দ্বাপরে, এবং শাক্যসিংহ ও মৈত্ৰেয কলিযুগে । অপর ১৭ জনকে তাহারা মানুষ বলুন আর নাই বলুন, শাক্যমুনি ও তঁাহার পূর্ধেকার ছয়জনকে তাহারা মানুষ বলেন। তীর্থঙ্করদের মধ্যেও, অনেকে মনে করেন যে শেষ দুইজন মাত্র সত্যসত্য মানুষ, বাকীগুলি মনগড়া মাত্র। তাহা হইলেও আমাদিগকে বুঝিতে হইবে যে, বুদ্ধ ও মহাবীরের পূর্ব হইতেই ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে পরকাল লইয়া অনেকদিন হইতে নড়াচাড়া হইতেছিল। বুদ্ধদেবের সময়ে ছয়টি ধৰ্ম্ম প্রচার হইয়াছিল, তাহদের নাম যথা আজীবক-ইহা, গোশালী মংখালি পুত্রের ধৰ্ম্ম, নিগ্ৰন্থ- ইহা মহাবীরের ধৰ্ম্ম, পূর্ণ কাশ্যপ একজন ধৰ্ম্ম প্ৰবৰ্ত্তক, অজিতকেবশ কম্বল একজন, সঙ্গয় একজন ও পোকুদ কািন্ত্যয়ণ একজন । এগুলিও ভারতবর্যের পূর্বাঞ্চলেই উৎপন্ন হইয়াছিল এবং সেইখানেই ইহাদের শ্ৰীবৃদ্ধিও হইয়াছিল। ভারতবর্ষের পূর্বাংশে লোক যে কেবল ধৰ্ম্ম লইয়াই থাকিত, এরূপ নহে ; এখানে অন্যান্য বিষয়েও বিশেষ পূৰ্বাঞ্চলেই বহু ধন্মের প্রসার । উন্নতি হইয়াছিল। ডাক্তার হারুনলি বলেন যে অস্ত্ৰচিকিৎসা পূৰ্বাঞ্চলেই আরম্ভ হইয়াছিল। হস্তিশাস্ত্র এই দেশেই রচনা হয়। ন্যায়শাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, সাংখ্যশাস্ত্র, ইহাদের উৎপত্তি ও পূর্বভারতে ; সুতরাং পূর্বভারত যে এককালে একটি সুসভ্য দেশ ছিল, ইহা অনায়াসেই ধ্বরিয়া লওয়া যাইতে পারে। আৰ্য্যগণ যখন সেই সুসভ্য দেশ আক্রমণ २६अन बूक ७ २8डीन डी२६न।