পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( O বৌদ্ধ sí তঁহার শিষ্য প্ৰশিষ্য হইতে র্যাহারা ধৰ্ম্মকথা শোনেন, তঁহার পর পর জন্মে ধাৰ্ম্মিক বৌদ্ধ হইতে পারেন, কিন্তু আবার না। যতদিন বুদ্ধদেবের প্রাদুর্ভাব হয়, ততদিন তঁহাদের মুক্তি পাইবার উপায় নাই। এমনও অনেক জায়গায় শোনা যায় যে, একজন বুদ্ধের শ্ৰাবক অনেক জন্মের পর আর একজন বুদ্ধের কাছে উদ্ধার হইলেন । মহাদানের লোকেরা বলিত ‘প্ৰত্যেক’ ও ‘শ্রাবক' এই দুই যানই হীন, কারণ ইহারা প্ৰত্যেকেই অত্যন্ত স্বার্থপর । আপনার উদ্ধার হইলেই হইল, ইহারা জগতের কথা ভাবে না, ইহাদের কাছে যেন জগৎ নাই, তাই মহাযানেরা ইহাদিগকে ‘হীন' বলিয়া নিন্দা করিয়া থাকে । আপনাদি? কে মহাযান ক’লে, যেহেতু তাহারা আপনার উদ্ধারের জন্য তত ভাবে না, জগৎ উদ্ধারই তাহদের মহ'ব্ৰত। পূর্বেই বলিয়াছি “অবলোকিতেশ্বরী’ উদ্ধার হন হন,—মহাশূন্যে বিলীন হন হন, এমন সময়ে জগতের সমস্ত প্ৰাণী তাহাকে উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিল, আপনি নির্বাণ প্ৰাপ্ত হইলে কে আমাদের উদ্ধার করিবে ? তাই শুনিয়া ‘অবলোকিতেশ্বর” প্ৰতিজ্ঞা করিলেন, একটি ও প্ৰাণী যতক্ষণ বদ্ধ থাকিবে, ততক্ষণ আমি নির্বাণে প্রবেশ করিব না। এই যে করুণা, সৰ্ব্বভূতে দয়া, ইহাই । মহাযানকে ‘মহা’ করিয়া তুলিয়াছে, আর ইহারই তুলনায় অপর দুই যানই হীন হইয়া গিয়াছে। হীনযান অৰ্হত্ব পাইলেই খুলী, মহাযান তাহাতে খুসী নয়,-তাহারা বুদ্ধত্ব চায়। এ দুয়ে তফাৎ কি ? অহঁৎও নির্বাণ পাইলেন, বুদ্ধও নির্বাণ পাইলেন। উভয়েই জন্মজরামরণের হাত হইতে উদ্ধার পাইলেন । DDDDD SDBDBzS DBDS DDDDS SBDBB DBB BBS BBLSYY DBD অহঁতের হীনযান হইলেন, আর বুদ্ধ মহাযান হইলেন কেন ? বুদ্ধ যখন বোধগয়ায় অশ্বখগাছের তলায় সম্যক সম্বোধি লাভ করিলেন এবং তৎক্ষণাৎ নির্বাণ লাভের জন্য ব্যাকুল হইলেন, সেই সময় ব্ৰহ্মা ও ইন্দ্ৰ আসিয়া তঁহাকে বলিলেন, আপনি এখন নিৰ্বাণ লাভ করিলে মগধের গতি কি হুইবে ? মগধ যে অধৰ্ম্মের ভারে ডুবিতে বসিয়াছে। র্তাহাদের কথায় বুদ্ধ স্বীকার করিলেন যে তিনি মগধের উদ্ধারের জন্য বহুকাল বাঁচিয়া