পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২ বৌদ্ধ-ভারত বায়যোগে পোতগুলি সমুদ্রতীর হইতে দরে নীত হইলে নিয়ামকগণ পোষা কাক ছাড়িয়া দিয়া কোন দিকে স্থল রহিয়াছে তাহা জানিয়া লইত । অজন্তার ২নং গ্রহায় নৌকা ও অর্ণব পোতের চিত্র পাওয়া গিয়াছে। অধ্যাপক শ্ৰীযক্ত রাধাকুমদ মুখোপাধ্যায় মহাশয় এই বিষয়ে প্রবাসী পত্রিকায় যে প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন তন্মধ্যে বলিয়াছেন —“এই যুগে ভারতবর্ষের নেী-শক্তিও বিশেষ পাটিলাভ করিয়াছিল। তাৎকালিক শিল্পকলাতেও তাহার আভাস পাওয়া যায়। তখন শতশত রণতরী রাজকীয় নৌ-বাহিনীর উৎকর্ষের পরিচয় দিত। এই নৌ-বাহিনীর সাহায্যে দ্বিতীয় পলকেশী পর্বে সমাদের অধীশ্বরী পরী নগরী জয় করেন। এই সময়েই গুজরাট বন্দর হইতে দলে দলে সাহসী ব্যক্তি ভারতমহাসমুদ্রের বীচিবিক্ষব্ধ নীলাম্ববরোশি ভেদ করিয়া এক অভিনব কম ক্ষেত্র আবিস্কারের আশায় উৎসাহান্বিত হৃদয়ে অর্ণবপোত যাত্রা করেন। তারপর যবদ্বীপের কলে উপনীত হইয়া সেই স্থানে উপনিবেশ সংগঠন কায্যে সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেন । সতরাং এই প্রবন্ধে অজস্তার নৌ-চিত্রসমহের যে দই খানি চিত্র সন্নিবেশিত হইল ঐ চিত্রদ্বয় ঐ যুগের ভারতবাসীর সমন্দ্রযাত্রা ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের পরিচায়ক তাহাতে অনমাত্র সন্দেহ নাই । গ্রিফিথস সাহেবের মতেও এইগুলি প্রাচীন বাণিজ্যের সাক্ষ্য প্রদান করে। They are a vivid testimony to ancient foreign trade of India অর্থাৎ এই সকল প্রাচীন ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের উজলে নিদশন। ইতিহাসজ্ঞ পাঠকগণ কৌটিল্যের অর্থশাসকে অতি উপাদেয় তথ্যপণ প্রামাণ্য গ্রন্হ বলিয়া মনে করেন। কৌটিল্য বা চাণক্য মৌৰ্য্যবংশের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী ছিলেন। তৎপ্রণীত অর্থশাস্ত্রে খস্টপব্ব তৃতীয় ও চতুর্থ শতকের রাজ্যশাসনপ্রণালী,