নবম অধ্যায় ৯৩ ধাম, আচারব্যবহার ও সামাজিক অবস্থা সম্বন্ধে বহু তথ্য জানিতে পারা যায়। কৌটিল্যপ্রণীত এই গ্রন্হখানি ১৯০৯ খৃস্টাব্দে মহীশর দরবারের আনকেল্যে মাদ্রিত হইয়াছে। তাঞ্জোর জিলার এক পণ্ডিত এই গ্রন্হের হস্তলিপি ১৯o৫ অব্দে মহীশর গভর্ণমেণ্টের হস্তে অপর্ণ করিয়াছিলেন । অর্থশাস্ত্রপাঠে জ্ঞাত হওয়া যায় তখন ভারতবর্ষে রাজতন্ত্রশাসনপ্রণালীই প্রচলিত ছিল। কৌটিল্যের মতে রাজা দিন ও রাত্রি উভয়কেই আটভাগে বিভক্ত করিয়া প্রত্যেক ভাগে কোন-না-কোন কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করবেন। দিবাভাগে তিনি যথাক্ৰমে (১) প্রহরী নিয়োগ ও হিসাব পরীক্ষা, (২) নগর ও গ্রামবাসীদের আবেদন শ্রবণ, (৩) স্নান-আহার-অধ্যয়ন, (৪) রাজস্বগ্রহণ, (৫) পত্রলিখন ও গুপ্তচরদের ব্যক্তব্য শ্রবণ, (৬) বিনোদন, (৭) হস্তী, অশ্ব, রথ, পদাতিক প্রভৃতি পরিদর্শন, (৮) প্রধান সেনাপতির সহিত যুদ্ধকৌশল আলোচনা করবেন। রাত্রিকালে তিনি যথাক্ৰমে (১) গপ্তচরদের বক্তব্য শ্রবণ (২) সনান, ভোজন ও অধ্যয়ন (৩) (৪) (৫) বিশ্রামসম্ভোগ (৬) নিদ্রাভঙ্গে তিনি শাস্ত্রানশাসন ও দিবসের কত্তব্য অন্ধ্যান (৭) শাসনবিধি আলোচনা ও গুপ্তচর প্রেরণ (৮) গরজনদের আশীব্বাদ গ্রহণপবেক রাজসভায় গমন করবেন। যাহারা কাৰ্য্যক্ষেত্রে কমপটতার পরিচয় প্রদান করেন এমন ক্ষমতাশালী সাপণ্ডিত কতিপয় ব্যক্তিকে রাজা তাঁহার উপদেষ্টা মন্ত্রী ও অমাত্য নিয়োগ করতেন। মন্ত্রী ও অমাত্য ব্যতীত আরও অনেক উচচ রাজকমচারী থাকিতেন । তাহাদের এক এক জনের উপর বিশেষ বিশেষ কায্যের ভার থাকত। যিনি রাজস্ব আদায়ের ভারপ্রাপ্ত হইতেন তাঁহার উপাধি ছিল “সমাহত্তা”। রাজকরের হিসাব লিখিয়া যিনি উহা রাজকোষে জমা দিতেন তিনি “সন্নিধ্যতা” নামে উক্ত , হইতেন । পরোহিত অন্যতম প্রসিদ্ধ রাজকর্মচারী ছিলেন। বিচার
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।