পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায় సె6 মল, তুলা এবং ভেষজরীপে ব্যবহৃত ছোট ছোট গাছ, লতা, গলম প্রভৃতিরও চাষ হইত। রাজকীয় খাস জমির উৎপন্ন, প্রজাদের প্রদত্ত রাজস্ব, বাণিজ্যশািলক এবং খনির আয় এই সকলের সমষ্টিই রাজার মোট আয় ছিল। প্রজাদের জমিতে যাহা উৎপন্ন হইত, রাজা উহার চতুর্থ কিবা ষষ্ঠাংশ রাজকর লইতেন। রাজ্যের সমস্ত খনি রাজার সম্পত্তি ছিল। লবণের ব্যবসায়ও তখন রাজার হস্তে ছিল। নাবাত্ৰক, বিধবা ও রোগাত্তেরা রাজার প্রতিপাল্য ছিল। তখন রাজকীয় অনুমতিপ্রাপ্ত বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি মোদক, প্রসন্ন, আসব, অরিস্ট, মধ্য প্রভৃতি নামধেয় মদ্য প্রস্তত করিত। যাহারা চরিত্রবান এমন লোকের নিকট সামান্য পরিমাণে মদ্য বিক্রয় করা হইত। কোন ব্যক্তি গোপনে মদ্য প্রস্তত করিলে তাহাকে ছয় শত মাদ্রা (পাণ ) জরিমানা দিতে হইত। সেকালে সমুদ্র, নদী ও হদে যে সকল যান যাতায়াত কাঁরত রাজার পোতাধ্যক্ষ কর্মচারী সেই সমস্তের তত্তবাবধান করতেন। যে সকল গ্রাম সমুদ্র, হ্রদ কিংবা নদীর তীরবত্তী ছিল সেই সকল গ্রামবাসীদিগকে এক প্রকার শতক দিতে হইত। ধীবরগণ জাল বাহিয়া যে মৎস্য পাইত উহার ষষ্ঠাংশ শতকে দিত। প্রত্যেক বন্দরে ব্যবসায়ীদের জন্য নিদ্ধারিত শলক ছিল, বণিকদিগকে ঐ শলক দিতে হইত। রাজকীয় যানে খে-সকল যাত্রী যাতায়াত করিত তাহাদিগকে নিদিষ্ট মাশুল দিতে হইত। যাহারা রাজকীয় নৌকায় শঙ্খ ও মুক্তা উত্তোলন করিত তাহাদিগকে সেই নৌকার ভাড়া দিতে হইত। যে সকল বণিকের বাণিজ্য দ্রব্য জলপথে নষ্ট হইত তাহাদিগের নিকট শতক আদায় করা হইত না, অথবা অদ্ধ শতক লওয়া হইত। যে সকল যান পোতাশ্রয়ে দাঁড়াইত ঐ সকল যানের মালিকাঁদগের নিকট শলেক দাবী করা হইত। সেকালে পল্লীগ্রামে পঞ্চায়েৎ শাসন প্রচলিত ছিল। গ্রামের মণ্ডলেরা শান্তিরক্ষা, বিচার ও সাধারণ সম্পত্তি রক্ষা করিতেন।