১OO বৌদ্ধ-ভারত প্রাণের সহিত আমরা মিলিত হই। এই সম্মবন্ধই রসের সম্বন্ধ । প্রকৃতপক্ষে আট ও ধমের মধ্যে কোন বিচ্ছেদ নাই, আত্মার সহিত পরিচিত হওয়াই যদি ধমের লক্ষ্য আর্টেরও তবে উহাই লক্ষ্য। অধ্যাত্মদুল্টা যদি আত্মাকে দেখিতে পাইয়া শরীরকে অথবা শরীরের কোন ভাগকে বাদ দিয়া না রাখেন তবে শিল্পীও সবচছন্দে শরীর মধ্যে সকলরাপে আত্মার মহিমাকে বণে, শব্দে, বাক্যে, প্রস্তরফলকে মাত্তিমান করিয়া পরম আধ্যাত্মিকতারই কাৰ্য্য করবেন।” &T&T To Esztoft, Indian Sculpture and Painting নামক গ্রহে ভারতশিল্পের এই আধ্যাত্মিকতাই বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করিয়াছেন । তিনি লিখিয়াছেন ঃ– Greek and Italian art would bring the gods to earth and make them the most beautiful of men ; Indian art raises men up to heaven and makes them as gods. গ্রীক ও ইটালীয় শিলপ দেবতাদিগকে নরত্বদান করিয়া পরমসন্দর মানষেরপে চিত্রিত করিয়া থাকে ; কিন্ত ভারত-শিল্প মানুষকে দেবত্ব দান করিয়া দেবতারপে চিত্রিত করে। যে বীৰ্য্য আধ্যাত্মিকতার মধ্য হইতে প্রসফাত হয় না, সাধনা যে রুপকে পবিত্রতায় অভিষিক্ত করে না সেই বীৰ্য্য, সেই সৌন্দয্য ভারতশিল্পীর লক্ষ্য হইতে পারে না । হ্যাভেল সাহেব লিখিয়াছেন ঃ– The ideal of manly beauty he set before himself was not represented by a Rajput warrior but by a divine Buddha, Krisna or Siva. His ideal of female beauty was not seen in the fairest of Indian beauty but in Parbati. ভারতশিল্পী তাহার মানসনের শরত্বের যে আদর্শ রক্ষা করিতেন সে আদশ রাজপত যোদ্ধা নহে, ঐ আদশ ভগবান বন্ধ,
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।