ՏO8 বৌদ্ধ-ভারত শ্রেষ্ঠ বন্ধের যে মাত্তি অঙ্কিত করিয়াছেন সেই মাত্তির দিব্য সৌন্দৰ্য্য অনুপম। তাঁহার ললাট দীপ্ত, লোচনদ্বয় নিগধ, বর্ণ গৌরোজবল, শরীর বীৰ্য্যশালী, তিনি পদ্মাসনে আসীন। কবির কথায় বলিতে গেলে বলিতে হয়— বসেছেন পদ্মাসনে প্রসন্ন প্রশান্ত মনে নিরঞ্জন আনন্দ মরতি ; দটি হতে শান্তি ঝরে সফরিছে অধর পরে কর্ণার সন্ধা হাস্যজ্যোতি । বিক্রমপরে, যবদ্বীপে, সিংহলে এবং অপর নানাদেশে অবলোকিতেশ্বরের যে মাত্তি পাওয়া গিয়াছে ভারতীয় ভাস্কর ব্যতীত অপর কোন দেশের ভাস্কর তেমন মাত্তি খোদিত করিতে পারেন না। বদ্ধ পদ্মাসনে আসীন, তাঁহার উষ্ণীষে এক ক্ষুদ্র ধ্যানী-বাদ্ধমত্তি । মহাযান সম্প্রদায়ের বৌদ্ধগণ বিশ্বাস করেন যে, পর্বে এক আদি বদ্ধ ছিলেন, তাঁহার বহন হইবার বাসনা হইল, সেই বাসনার নাম প্রজ্ঞা—আদি বদ্ধ ও প্রজ্ঞা একযোগে কয়টি ধ্যানী-বদ্ধের সন্টি করিলেন—সেই সমস্ত সন্টির সহিত নিগঢ়ভাবে তাহারা সংযুক্ত। অবলোকিতেশ্বরের উষ্ণীস্থ ধ্যানীবৃদ্ধের নাম অমিতাভ। বুদ্ধের মস্তক এক জ্যোতিমাল্ডলে আবত, তাঁহার বাম হস্তে ধৰ্ম্মচকু মাদ্রাচিহ্ন, দক্ষিণ কর উন্মুক্ত, তাহাতে বর মাদ্রাচিহ্ন বিদ্যমান। তিনি ধ্যাননিমগু, দেহের উদ্ধভাগ ঋজ, দক্ষিণ পদ এক শতদলের উপর স্থাপিত, সেই শতদল নিখিল ব্রহ্মান্ডের চিহ্ন। এই মাত্তি যে অধ্যাত্ম শান্তি প্রকাশ করিতেছে তাহা বচনাতীত । শিলপ ভারত-শিল্পীর ধ্যানের বিষয় ছিল। ধ্যানযোগে শিল্পী যদি তাহার ধোয় বিষয়ের সহিত একাত্ম হইতে না পারিতেন তাহা হইলে কদাচ এমন সত্যশিল্পের উদ্ভব হইত না । ১৩২০ সালের ফাল্গন-সংখ্যক প্রবাসী পত্রিকায় শ্রীযুক্ত হরিপ্রসন্ন দাসগুপ্ত বিদ্যাবিনোদ মহাশয় “বঙ্গে বদ্ধমত্তি পজা” শীর্ষক এক প্রবন্ধে বঙ্গীয় ভাস্কর-শিল্পীর রচিত এক বাদ্ধমত্তির বণনা প্রদান
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।