পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় SOa অঙ্কন কায পরিসমাপ্ত করিয়া গিয়াছেন। বঙ্গের বাহিরে বদ্ধেগয়া ও সারনাথে বহনসংখ্যক মাত্তি প্রত্যক্ষ করিয়াছি কিন্তু এমন কমনীয় মুখশ্রী এবং লাবণ্যে ঢলঢল মাত্তি বঙ্গদেশ ভিন্ন আর কোথাও দেখিতে পাইলাম না। স্তম্ভ বৌদ্ধশিল্পীদের শিল্পনৈপণ্য প্রস্তরস্তম্ভ, স্তূপ, বেষ্টনী চৈত্য ও বিহারে প্রকাশ পাইয়াছে। মহামতি অশোক বৌদ্ধধমের, প্রচারকল্পে দেশের সব্বাংশে প্রস্তরস্তম্ভে ধাম ও সনীতিমালক বহুবাক্য খোদিত করিয়াছিলেন। এলাহাবাদ ও দিল্লীর প্রস্তরস্তম্ভের লিখিত বাক্যাবলীর পাঠোদ্ধার করিয়াছেন জেমস প্রিন্সেপ সাহেব। এলাহাবাদ সতম্ভে অশোকের খোদিত লিপির তলদেশে সমদ্রগুপ্তের খোদিত লিপিও দষ্ট হয়। সমুদ্রগুপ্ত তাঁহার রাজগৌরব ও পৰবপরষগণের নাম তথায় খোদিত করাইয়া রাখিয়াছেন। এই স্তম্ভ সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনকালে একবার ভূমিসাৎ হইয়াছিল বলিয়া অনমিত হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীরও ঐ সতম্ভে তাঁহার রাজত্বের আরম্ভসচক বাক্যাবলী পারসিয়ান ভাষায় খোদিত করাইয়া রাখিয়াছেন। বৌদ্ধযুগের যে সকল স্তম্ভ এক্ষণে দেখা যায় সেইগুলির শিরোভাগ আলঙ্কারিক কার্যকাৰ্য্যসহ ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। ত্ৰিহাতের স্তম্ভের শিরোভাগে এক সিংহমত্তি রহিয়াছে। মথুরা ও কনোজের মধ্যবত্তী সঙ্কাশ্য নামক স্থানের স্তম্ভ এক ভগ্ন হস্তীর উপর স্থাপিত। এই হস্তীর মুক্তি এমনভাবে ভাঙ্গিয়া গিয়াছে যে পরিব্রাজক উয়ান চুয়াঙ ইহাকে সিংহ বলিয়া ভুল করিয়াছিলেন। দিল্লীর কুতবমিনারের নিকটস্থ লৌহস্তম্ভ এক বিস্ময়-সামগ্রী। এই লৌহস্তম্ভের ২২ ফিট ভূমির উপরিভাগে, ২০ ইঞ্চি ভূগভে রহিয়াছে, ইহার বেস্টন পাদদেশে ১৬ ইঞ্চি, শিরোভাগে ১২ ইঞ্চি । এই স্তম্ভের উৎকীর্ণ বাক্যাবলী পাঠ করিয়া প্রিন্সেপ সাহেব এই মত প্রকাশ