পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সশৱনাথ কাশীর আদরবত্তী সারনাথ এক সময়ে মাগদাব বা ঋষিপত্তন নামে খ্যাত ছিল। এই স্থলে ভগবান বন্ধ তাঁহার সদধম্ম সব্বপ্রথমে প্রচারিত করিয়াছিলেন । এই স্থান বৌদ্ধ মাত্রের নিকট পরম পবিত্র পণ্যতীথে পরিণত হইয়াছে। এইরপ উক্ত আছে যে, এই স্থলে ভগবান বুদ্ধ পন্ববত্তী কোন জন্মে মাগরপ ধারণ করিয়া এক হরিণীকে তাহার শিশু-সন্তানসহ রক্ষা করিয়াছিলেন। এইজন্য ঋষিপত্তন বৌদ্ধদের নিকট মাগদাব’ নামে খ্যাত। এই স্থলে ভূগভী হইতে যে সকল মত্তি, স্তুপ ও বিবিধ দ্রব্য আবিস্কৃত হইয়াছে সেই সমদয়ের শিল্পশোভা দশকমাত্রের চিত্তে অপব্ব বিস্ময় উৎপাদন করিয়া থাকে। এইস্থলে যে সকল বদ্ধমত্তি আবিস্কৃত হইয়াছে সে সমস্ত আজিও নবনিমিত বলিয়া প্রতীয়মান হয়। পদ্মাসন, বীরাসন, রাজাসন ও বজ্রাসনে উপবিট বদ্ধমত্তিগুলির মখে কি শান্তি, কি পবিত্রতা, কি কমনীয় সৌন্দৰ্য্য প্রকাঁটত হইয়া রহিয়াছে তাহা না দেখিলে কেহ উপলবিধ করিতে পারবেন না । সেই বৌদ্ধযাগের সাধন-নিরত ভাস্করশিলিপগণ এমন সকৌশলে এই সকল মুক্তি অঙ্কিত করিয়াছেন যে কাল ইহাদের অক্ষয় সৌন্দয্য বিনস্ট করিতে পারে নাই । আধনিক সারনাথ বারাণসী ধামের নিকটবত্তী একটি গ্রাম। ব্যুদ্ধের সময়ে সারনাথ বারাণসীর অন্তভুক্ত ছিল। ইহার স্বতন্ত্র নাম হয়ত ছিল, কিন্ত বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহে অনেকস্থলেই উক্ত হইয়াছে যে, ভগবান বুদ্ধ বারাণসীধামে “ধৰ্ম্মচক্র প্রবত্তন” করেন। বদ্ধ স্বয়ং বলিয়াছেন,—‘আমি ধৰ্ম্মম চকু প্রবত্তন জন্য বারাণসী যাইতেছি।’ বৌদ্ধশিল্পীগণ ধৰ্ম্মচক্লের যে খোদিত চিত্র অঙ্কন করিয়াছেন তাহা যেমন শিল্পশোভায়, তেমন ভাবের গভীরতায় পরিপণ । ধমচক্লের সব্বাংশ সমসণ প্রস্তরে নিমিত। আলোকদানবৎ এক স্তম্ভের উপরিভাগে এক চকু স্থাপিত, ইহার উপরে চারিটি সিংহ দল্ডায়মান। এই চক্লের উভয়পাশেব দইটি মগ দাঁড়াইয়া রহিয়াছে।