দশম অধ্যায় ՀՏՏ এই সমস্তের সমবায় ধৰ্ম্মম চকু বলিয়া কথিত হয়। এই ধৰ্ম্ম চকু মানবজীবনের জন্মমৃত্যু প্রভৃতি রহস্যের সচক । উহারই ধ্যান করিয়া মানষে পরিনিব্বাণ লাভ করিয়া থাকে। বৌদ্ধ-সাধক ধ্যান করেন ভগবান বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ, ধমচিকুপ্রবত্তন ও পরিনিব্বণি । যে স্থলে দণ্ডায়মান হইয়া ভগবান বদ্ধ সব্বপ্রথমে পঞ্চশিষ্য সমীপে তাঁহার আদিকল্যাণ, মধ্যকল্যাণ, অন্তকল্যাণ সদধমের কাহিনী বিবত করেন তথায় এক স্তম্ভ স্থাপিত হইয়াছিল । সেই সতভোপরি এক সিংহমত্তি এবং উহার গাত্রে মহারাজ অশোকের অনুশাসন রহিয়াছে। ** বৌদ্ধধৰ্ম্মম প্রচারের নিমিত্ত মহামতি অশোক ভারতবষের সবব* অংশে ক্ষুদ্র বহৎ অসংখ্য স্তুপ নিমাণ করাইয়াছিলেন। লোকসাধারণের মধ্যে বৌদ্ধধৰ্ম্মম প্রচারের জন্য তিনি যেমন ভারতের সববর ও বিভিন্ন দেশে প্রচারক প্রেরণ করিয়াছিলেন তদ্রুপ স্তম্ভ, স্তূপ, চৈত্য ও বিহার নির্মাণ করিয়া বৌদ্ধধমের তথ্য খোদিত লিপি ও চিত্রদ্বারা জনসাধারণের প্রত্যক্ষ গোচর করিয়া দিয়াছিলেন। স্তূপ সমহের শিপেশোভা বিশেষরপ হৃদয়স্পশী। ভূপের বেস্টনীর তিনটি স্তম্ভ বাদ্ধ, সঙ্ঘ ও ধৰ্ম্ম এই ত্রিশরণ সচনা করে। স্তূপের চারিদ্বারে মহাপর্ষ বন্ধের জন্ম, বোধিলাভ, ধৰ্ম্মচক্রপ্রবত্তন ও পরিনিব্বাণলাভের মনোহর চিত্র রেখাক্ষরে অঙ্কিত থাকে। নীল আকাশ যেমন চক্লাকারে সকল দিক হইতে ধরিত্রীর সহিত মিলিত হইয়াছে তুপের টােপর তেমন উভিন্ন নীলকমলের ন্যায় নিম্নমখ হইয়া ভূমিপশ করিতেছে। টোপরের তলদেশ হইতে যে পাঁচটি স্তম্ভ উত্থিত হইয়াছে তাহা বিশেবর উপাদান ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরৎ ও ব্যোম সচনা করিয়া থাকে। বদ্ধ বা বোধিসত্বের দেহ ধাতুর উপরে যে বক্ষ অঙ্কিত থাকে উহা বোধিদ্রমে সচক। সম্রাট অশোক হীনযান বৌদ্ধ ছিলেন। ভগবান বন্ধকে তিনি মহাপর্ষরপেই পজা করিতেন, তাঁহাকে পরমেশবর বলিয়া মানিতেন না। বৌদ্ধধমের তত্তর যাহাতে লোকসাধারণের বোধগম্য হয়
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।