পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম অধ্যায় SSa দান করিয়াছিলেন। বন্ধের জীবিতকালে বিহার সংখ্যা তত অধিক ছিল বলিয়া মনে হয় না। পাটনার নিকটবত্তী বনগাঁও গ্রামের নালন্দা বিহার অতি প্রসিদ্ধ । খাষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে চীন পরিব্রাজক উয়ান চুয়াঙ এই বিহারে দীঘকাল অবস্থান করিয়াছিলেন। এখানকার ভিক্ষনিবাস সমহের চতুদিকে ১৩oo ফিট দীঘ', ৪oo ফিট প্রস্থ এক প্রাচীর ছিল। ঐ প্রাচীর অংশতঃ আবিস্কৃত হইয়াছে। প্রাচীরের বহিন্দেশেও অনেক স্তূপ ও মন্দির রহিয়াছে। সারনাথের ন্যায় নালন্দায় একটি মিউজিয়ম আছে। আবিস্কারলব্ধ দুবরাজ তথায় শঙ্খলা সহকারে সাজাইয়া রাখা হইয়াছে। হাজার হাজার বৎসর পর্বের মতপারগুলি অভগ্ন অবস্থায় বাহির করা হইয়াছে। অনেকগুলি শীলমোহর পাওয়া গিয়াছে। তন্মধ্যে একটি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের। উহাতে লেখা “শ্রীনালন্দা মহাবিহারী আর্য্য ভিক্ষ সংঘস্য”। প্রস্তর ও ধাতুর উপর উৎকীর্ণ ক্ষুদ্র বহৎ নানা প্রকার বদ্ধমত্তি এখানে পাওয়া গিয়াছে। জন্ম হইতে পরিনিব্বণি লাভ পৰ্য্যন্ত বুদ্ধের জীবনের সকল ঘটনা ১ol১২ আঙ্গল দীঘ ৭৮ আঙ্গল প্রস্থ প্রস্তরে খোদিত হইয়াছে। এখানকার মিউজিয়মে সেই যুগের তণ্ডুল রহিয়াছে । তভুলের কতকগুলি কৃষ্ণবর্ণ, অপরগুলি এখনও নতনবৎ শত্র। এখানে খনন করিয়া এক সবাহৎ ভবন উদ্ধার করা হইয়াছে। অনমিত হয় ঐ গহ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহত্তম ভবন। ইহার দ্বিতলের ছাদ বা প্রাকার নাই। নিম্নতলে ও মধ্যস্থলে সবাহৎ অঙ্গন। এখানকার ঘরগুলির প্রত্যেকটিতে দাইটি বহৎ এবং দইট ক্ষুদ্র বাঁধান স্থান আছে। এইরপ অনমিত হয় যে, বিদ্যাথীরা বহৎ বাঁধান স্থলে শয্যা রচনা এবং ক্ষুদ্র বাঁধান স্থলে পসন্তক দ্রব্যাদি রাখিতেন। एवख्क्रख्छ`। ভারতীয় বিহারসমহের মধ্যে শিল্পশোভায় অজস্তা সব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছে। লব্ধপ্রতিষ্ঠ চিত্রশিল্পী শ্ৰীযন্ত সমরেন্দ্ৰ নাথ গুপ্ত