পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSby বৌদ্ধ-ভারত মহাশয় প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত “অজস্তা গহোর চিত্রাবলী” শীর্ষক পাঁচটি প্রবন্ধে উক্ত গহোর সর্বপ্রকার চিত্রের আভাস প্রদান করিয়াছেন। তিনি তথাকার চিত্র শোভায় মোহিত হইয়া লিখিয়াছেন—“অজস্তা ভারতশিল্পের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান ; সেই পণ্যতীথে না যাইলে ভারতবাসী কোন শিল্পীরই সাধনা পণ হয় না। এককালে অজস্তার নাম ভারতবষের সব্বত্র এবং অন্যান্য দেশে সুপ্রসিদ্ধ ছিল। অজস্তা এককালে সবাহৎ বৌদ্ধ মঠ ছিল । ধৰ্ম্মমঠের স্থান কি প্রকার হওয়া উচিত অজন্তা যাইলে তাহা অনুভব করা যায়। রমণীয় অরণ্যের মধ্যে একটি পর্বতের গায়ে সারি সারি খোদাই করা প্রশস্ত গহা । নিম্নে স্বল্প-সলিলা প্রবাহিনী। উপরে অরণ্যের শ্যামল শোভা, স্থানটি নিভৃত নিজজন ; সাংসারিক কোলাহল ও অশান্তি হইতে মুক্তিলাভ করিবার উপযুক্ত স্থান ।” অজস্তা গহা হাইদরাবাদের নিজাম রাজ্যের অন্তগত। এই গুহা ইন্দ্রিয়াদি নামক পব্বতের গাত্রে উৎকীর্ণ । জলগাঁও নামক রেলওয়ে স্টেশন হইতে ইহার দরত্ব প্রায় ত্রিশ ক্লোশ । অদ্ধচন্দ্রাকৃতি পৰবতে মোট ২৯টি গহা খোদিত হইয়াছে। এতন্মধ্যে কয়টির খনন কাৰ্য্য অসমাপ্ত রহিয়া গিয়াছে। গুহাগুলির মধ্যে চারিটি চৈত্য, অপরগুলি বিহার। ইতিহাসজ্ঞেরা বলেন, খাস্টপাব দ্বিতীয় হইতে খন্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দী মধ্যে এইসকল খোদিত এবং ১ম হইতে ৭ম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত তরত্য চিত্রাবলী অঙ্কিত হইয়াছে। - মদীয় সহৃদ বিখ্যাত চিত্রশিল্পী শ্ৰীযন্ত অসিতকুমার হালদার মহাশয় চিত্রশিপের অন্যতম পীঠস্থান অজস্তা ভ্রমণ করিয়া “অজস্তা” নামক পদতকে উক্ত গহোর বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেন ঃ– “প্রথম প্রথম কোনটা ছেড়ে যে কোনটা দেখবো তা ভেবেই ঠিক করতে পারতুম না। মনে হত যেন কি এক স্বপুরাজ্যের মধ্যে এসে আত্মহারা হয়ে পড়েছি। পরবত্তী সময়ের মোগল চিত্র দেখে এরকম