পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২O বৌদ্ধ-ভারত তোলেন, বৌদ্ধ শিল্পীরা সেটা দই চারটে সরল মোটা টানে অপায়াসে দেখিয়ে দিয়েছেন। বৌদ্ধচিত্র শিল্পীদের এরপ রেখাঙ্কনের দক্ষতা মোগল কেন পথিবীর কোন দেশের শিল্পীদের ছিল কি না সন্দেহ ।” “অজস্তা চিত্র বণ"সমাবেশেও মনোহর। তার প্রতিবণ চোখে স্নিগ্ধ শীতল ভাব আনে। মোগল কিংবা অন্য কোন শিলেপ সে রকমটা প্রায় দেখা যায় না। বৌদ্ধ আর মোগল চিত্র উভয়েরই রঙ্গের একটা প্রধান গণ, শত শত বৎসরের পরাতন মোগল ছবি এবং সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসরের জীণ বৌদ্ধ ছবিগুলির কোনটিরই বণের অদ্যাপি কোন পরিবত্তন ঘটেনি। সেগুলি যেন চির নবীন। অজস্তার ছবি দেখলে মনে হয়, এই মাত্র বঝি কেউ রং দিয়ে গেল।” “আলঙ্কারিক শিল্প সম্পবন্ধে বৌদ্ধ ও মোগলশিল্পীরা প্রায় সমকক্ষ। অজন্তা গহার শীর্ষদেশের সঙ্গজা এক বিচিত্র কান্ড। হঠাৎ দেখলে মনে হয় যেন মাথার উপরে একখানি বহমাল্য শালের চাঁদোয়া টাঙ্গান রয়েছে। প্রত্যেক চাঁদোয়ার মধ্যে একটা করে প্রকান্ড শ্বেতপদ্ম বিকশিত ; আর তার চারিধারে গোল ভাবে সজিত সারি সারি হাঁস কিংবা ময়র অথবা মণাল-দল-মহন-তৎপর হাতীর পাল এবং চার কোণে নানারকম লতাপাতার কাজ। সে গলির মধ্যে একটা বিশেষ অর্থ আছে তা দেখলেই বোঝা যায়। মোগল আলঙ্কারিক চিত্র সক্ষমতার হিসাবে শ্রেষ্ঠ বটে ; কিন্ত অজস্তার আলঙ্কারিক চিত্রের মত অথপণ বলিয়া মনে হয় না।” “অজন্তা গহার গাছপালার চিত্রগুলিও নিখত। মোগল চিত্রেও বক্ষাদির ছবি অতি সন্দের। পাশ্চাত্য শিল্পীদের মত তাঁরা শুধ তুলির পশে একটা গাছের ভঙ্গী খাড়া করে নিশ্চিন্ত হন না, তাঁর যতদর সম্ভব গাছের পাতাগুলি এমন কি গড়ির আকারের তারতম্য ঠিক ভাবে একে তার পরিচয় দিয়ে দেন অথাৎ ভারতবষীয় চিত্রের গাছপালা দেখলে জিজ্ঞাসা করতে হয় না—এটা কি গাছ’ ?” অজস্তার ১ নং গ্রহায় সৌম্য ও সন্দেরকান্তি ভগবান বন্ধের গহত্যাগের একখানি মনোহর চিত্র আছে। সেই ছবির শোভা যেন