Sఇ8 বৌদ্ধ-ভারত যে সকল কথা ভাষায় প্রকাশ করিলে জটিল হইয়া উঠিত চিত্রে ও ভাস্কয্যে রেখাক্ষরে তাহা প্রাঞ্জলভাবে ব্যাখ্যা করা হইয়াছে। এখানে রাজসভা, যুদ্ধবিদ্রোহ, দাম্পত্যপ্রেম, ব্যঙ্গচিত্র প্রভৃতির অভাব নাই ; বহয় ঐতিহাসিক চিত্রও অজস্তায় দন্ট হইয়া থাকে। সৌন্দয্যের উন্মেষের জন্য এখানে আলঙ্কারিক চিত্রকলাও অঙ্কিত হইয়াছে। কিন্ত ঐ সকলের মধ্যে আধ্যাত্মিকতার এক সরে ধ্বনিত হইতেছে। | খস্টপব্ব ৪র্থ শতাব্দী হইতে বৌদ্ধশিল্পের অভু্যত্থান হইয়াছিল। উড়িষ্যার হস্তিগফা, ব্যাঘ্র-গল্ফো প্রভৃতি বৌদ্ধশিল্পের স্থল প্রারম্ভ সচনা করিয়া থাকে। খাটপব্বে ৩য় শতাব্দী হইতে এই শিল্প অসামান্য উন্নতি লাভ করে। ঐ সময় হইতে আরম্ভ করিয়া খণ্টীয় প্রথম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত কয় শত বৎসর মধ্যে ভারতবর্ষে অসংখ্য স্তম্ভ, স্তূপ, চৈত্য, বিহার নিমিত হইয়াছিল। এই সকলের শিল্পশোভা দশকগণের হৃদয়রঞ্জন করিয়া থাকে। হীনযান বৌদ্ধগণ বদ্ধকে মহামানবরপে শ্রদ্ধা করিতেন, তাঁহাকে পরমেশবরের আসনে স্থান দান করেন নাই, এই জন্যই বোধ হয় অশোক-যুগের শিল্পের শোভা হৃদয়পশাঁ হইলেও ঐ যুগের শিল্প গভীর আধ্যাত্মিকতায় মহোচ্চ হইয়া উঠিতে পারে নাই । অতঃপর মহাযান বৌদ্ধধমে যখন ভক্তিবাদ দেখা দিল, মানুষ বদ্ধ যখন পরমেশবরের স্হান অধিকার করিলেন, তখন ভগবান বন্ধ ভারতীয় শিল্পীর হৃদয়ের সকল শ্রদ্ধা, সকল ভক্তি আকর্ষণ করিয়া লইলেন । তখন হইতেই শিল্পীরা তাঁহার জীবনের সকল ঘটন মন্দিরে, বিহারে, চৈতো, গিরিগুহায় অঙ্কিত করিয়া আপনাদের ভক্তিব্যক্তির চরিতার্থতা সম্পাদন করতে লাগিলেন। ভক্তিরসে আপ্নত হইয়া শিল্প উদার, বিশাল ও মহান হইয়া উঠিল। খষ্টীয় ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীর পৌরাণিক মন্দিরসমাহে বোঁ স্হাপত্য ও ভাস্কয্যের সপেস্ট নিদশন রহিয়াছে। তারপর ভারতে তামসী নিশার আবিভাব হইল। সেই তমিল্লার মধ্যে ভারতে গৌরবময় শিল্প কেমন করিয়া বিলুপ্ত হইল তাহা এখনও সপেস্টরঃে জানিতে পারা যায় নাই ।
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।