১২৬ বৌদ্ধ-ভারত শয্যায়ই তাঁহার শিষ্যগণ যুক্তিমলেক ধমে নতন ভাব সঞ্চার করিয়া যক্তির সনিদিষ্ট রেখা হইতে কথঞ্চিৎ দরে গমন করিয়াছিলেন। ব্যুদ্ধের শিষ্যগণ তাঁহার মৃত্যুপরে তদীয় উপদেশাবলী সংগ্রহ করিয়া তদনসারে ধৰ্ম্মসাধনায় নিরত ছিলেন। প্রায় এক শত বৎসর বৌদ্ধগণের মধ্যে বিশেষ কোন বিরোধ ঘটে নাই। অতঃপর নিয়ম পালন লইয়া বৌদ্ধ সঙ্ঘে বিবাদ উপস্হিত হয়। এই বিবাদের মীমাংসার জন্য বৈশালী নগরে এক মহাসভার অধিবেশন হইয়াছিল কিন্তু বিবাদের মীমাংসা না হইয়া বৌদ্ধগণ সহবিরবাদী ও মহাসাঙ্গিক এই এই দুই দলে বিভক্ত হইলেন। জনবলে মহাসাঙ্গিকেরা প্রবল হইলেন। সম্রাট অশোক সহবিরবাদী অথাৎ হীনযানী বৌদ্ধ ছিলেন। তাঁহার পষ্ঠপোষণে এই ধৰ্ম্ম সিংহলে প্রচারিত হইয়া অদ্যাপি বিদ্যমান রহিয়াছে। মহারাজ কনিকের রাজত্বকালে জালন্ধরে মহাসাঙ্গিকদের এক সভায় তাহাদের ধম্মপসন্তক রচিত হয়। এই সময়ে মহাসাঙ্গিক মহাযানরপে পরিণত হয়। এই মহাযান আবার মন্ত্রযান, বজ্রযান, কালচক্লযান প্রভৃতি নানা শাখায় বিভক্ত হইয়া পড়ে। বৌদ্ধধমের অবনতির ইতিবৃত্ত বর্ণনা করিয়া পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাসন্ত্রী মহাশয় নারায়ণ পত্রিকায় লিখিয়াছেন ঃ— ( বৌদ্ধধৰ্ম্ম সহজ করিতে গিয়া, সহজযানীরা যে মত প্রচার করিলেন তাহাতে ব্যভিচারের স্রোত ভয়ানক বাড়িয়া উঠিল। ভিক্ষরা ক্ৰমশঃ খাব বাবা, বিলাসী এবং তাহার উপর অত্যন্ত ইন্দুিয়াসক্ত হইয়া छैठेव्न । মহাযান ধৰ্ম্ম খুব উচু ধৰ্ম্ম । কিন্ত মহাযান বঝিতে, আয়ত্ত করিতে ও মহাযানের মতে কাৰ্য্য করতে বহনকাল লাগে, অনেক পরিশ্রম করতে হয় । ততটা সকলে পারিয়া উঠিত না। মহাযানের আচায্যেরা ইহার জন্য একটা সহজ পন্হা বাহির করিয়াছিলেন। তাহারা বলিয়া দিয়াছিলেন তোমরা ধারণী মুখসহ কর, ধারণী জপ কর, ধারণীর পথি পজা কর—তাহা হইলেই তোমাদের মহাযানের
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।