একাদশ অধ্যায় ১২৯ সেই সকল কাজই করত। সুতরাং তাহাদের ধম করিবার সময়ও থাকিত—বড় বড় উৎসবে দাঁচার পয়সা খরচও করিতে পারিত কিন্তু বেশী লেখাপড়া শেখা, ধ্যান-ধারণা করা, ভাবনা চিন্তা করার সময়ও থাকিত না—প্রবত্তিও থাকিত না, তাহা হইলে মোট দাঁড়ায় এই ষে বৌদ্ধধর্মের পৌরহিত্যটা মাখ কারিগরদের হাতে পড়িয়া গেল। আসল ভিক্ষরা বিহারে থাকিতেন । বিহারের জমি-জমার আয় হইতে কোনরপে গজরাণ করিতেন। ক্রমে রাজারা প্রায় বিধম্মী হইয়া উঠিল। বৌদ্ধপডিত হইলে যে রাজ-সমান পাইবেন তাহার উপায় রহিল না। রাজারাও ছোট ছোট রাজা—আপনাদের পন্ডিত পোষণ করিয়া আবার যে বিধম্মী বৌদ্ধপডিত প্রতিপালন করিবেন, তাঁহাদের সে সাধ্য থাকিলেও তাঁহাদের পন্ডিতেরা তাহা করিতে দিতেন না ; সতরাং আসল ভিক্ষদের এবং তাহাদের বিহারের অবস্হা ক্লমে শোচনীয় হইয়া দাঁড়াইল । শাস্ত্রী মহাশয়ের উক্ত বণনা হইতে বৌদ্ধধমের বিকৃতি সম্পস্ট হৃদয়ঙ্গম করা যাইতে পারে, কিন্তু এই অবনতি বা বিকৃতির জন্য বৌদ্ধধৰ্ম্মম ভারতবর্ষ হইতে নিৰ্বাসিত হইয়াছে ইহা যুক্তিপব্বক স্বীকার করা যায় না। বিকৃতি কোন ধৰ্ম্মকে ইহার যথাথ গৌরব হইতে বঞ্চিত করিতে পারে না, নেড়া-নেড়ীরা যেভাবে বৈষ্ণবধমের আচরণ করে উহার দ্বারা মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের প্রেমের ধমের বিচার করা যায় না। ইন্দ্ৰিয়াসক্ত তথাকথিত বৌদ্ধদের পঞ্চম-কার সাধনা নিৰবাণ-বক্তা বন্ধের মৈত্রীমলেক সদধমকে গৌরবচ্যুত করিতে পারে না । তবে ইহা নিঃসন্দেহ যে, এই সকল পাপাচার চরিত্রহীন বৌদ্ধগণের ক্লিয়াকাডে লোক সাধারণের মনে বৌদ্ধসমাজের প্রতি অশ্রদ্ধা জমিয়াছিল। বৌদ্ধসমাজ ধৰ্ম্মমবলহীন হইয়া দৰবল হইয়া পড়িয়াছিল। qš zoof Sir Charles Eliot ozo Hinduism and Buெை The aberration of Indian religion is not due to >
পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/১৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।