religion. We may trace the same influence with more or less certainty in the Philosophy of Sankar.
ভারতবর্ষ হইতে বৌদ্ধধর্ম্মের তিরোধান আলোচনা করিবার সময়ে আমাদিগকে ইহা মনে রাখিতে হইবে যে, এই ধর্ম্ম ভারতবর্ষ হইতে বিতাড়িত হয় নাই, এই দেশের মধ্যে বিলীন হইয়া গিয়াছে। এই সংমিশ্রণের ফলে যে ধর্ম্মের উদ্ভব হইয়াছে উহা যথার্থতঃ হিন্দুধর্ম্ম নামে অভিহিত হইয়া থাকে। নামে যাহাই হউক এই ধর্ম্ম অনেক বৌদ্ধ আচার ও ধর্ম্ম বিশ্বাস গ্রহণ করিয়াছে। বৌদ্ধধর্ম্মের সহিত সংমিশ্রণ না হইলে হিন্দ, ধর্ম্ম বর্ত্তমান আকার প্রাপ্ত হইত না। দৃষ্টান্ত স্বরূপ ইহা বলা যায় যে, এখন যে হিন্দুদের মধ্যে অনেক সম্প্রদায় জীববলির বিরোধী, ইহার মূলে বৌদ্ধপ্রভাব রহিয়াছে। ‘প্রাণীহিংসা করিব না’ ইহা একটি বৌদ্ধশীল। সাধুদের মঠ এবং দ্রাবিড়দেশীয় পুরোহিত শাসনের মধ্যেও বৌদ্ধপ্রভাব পরিলক্ষিত হইতে পারে। একেবারে অসংশয়ে না বলিতে পারিলেও আমরা ইহা বলিতে পারি যে, শঙ্করের দার্শনিক মতের মধ্যেও বৌদ্ধপ্রভাব রহিয়াছে।