করিলেন তাহা লোকসমাজে প্রচার করিবেন কিনা পঞ্চম সপ্তাহে এই চিন্তা তাঁহার মনে উদিত হইয়াছিল। সংশয় দূর হইবার পরে, তিনি যখন তাঁহার অমৃতমণ্ড সকলকে পান করাইবার জন্য কৃতসঙ্কল্প হইলেন, তখন যেন উপনিষদের ঋষির ভাষায়ই বলিলেন,—
“অমৃত দুয়ার খুলিয়া গিয়াছে; যাহাদের কান কাছে, তাহারা শোন। শ্রদ্ধাদ্বারাই এই অমৃতের সাক্ষাৎকার লাভ হইবে।”[১] এই বাণী ভারতবর্ষের চিরন্তন বাণী বলিয়াই মনে হয়। ধর্ম্মের মে মূলতত্ত্ব তিনি ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তাহা নিজের নতুন সৃষ্টি বলিয়া চালাইবার চেষ্টা করেন নাই। তাঁহার নিজের কথায়ই মনে হয়, তিনি যেন হারানো ধন খুঁজিয়া বাহির করিরাছিলেন। সূত্রপিটকে সংযুক্ত নিকায়ে তিনি বলিয়াছেন,—
“পার্ব্বত্যপথে চলিবার সময়ে কোন ব্যক্তি প্রাচীনকালের একটি পথ দেখিতে পাইলেন। সেই পথে প্রাচীনকালে কত লোক যাতায়াত করিত। সেই পথে চলিতে চলিতে তিনি সেকালের একটি পুরী দেখিলেন। মনোহর সে পুরী, তথাকার প্রাসাদ, উদ্যান কুঞ্জ, সরোবর ও প্রাচীরে বেষ্টিত; রমণীয় সেই স্থান। তিনি এখন কি করিবেন? ফিরিয়া আসিয়া রাজাকে কিংবা রাজমন্ত্রীকে তাহার বক্তব্য নিবেদন করিবেন এবং সেই প্রাচীন পুরী নূতন করিয়া নির্ম্মাণ করিতে অনুরোধ করিবেন। তাহা হইলে সেই নবাবিষ্কৃত প্রাচীন নগর আবার ধনে, জনে সমৃদ্ধ হইয়া উঠিবে। ভিক্ষুগণ! আমিও সেইরূপ একটি প্রাচীন পথ আবিষ্কার করিয়াছি। পুরাকালের মহাজ্ঞানীরা এই পথেই যাতায়াত করিতেন। এই পথে বিহার করিয়া আমি
- ↑
অপারূতা তেসং অমতস্স ধারা
যে সোতবন্তো পমুঞ্চন্তু সদ্ধং,
বিহিংসসঞ্ঞী পগুণং ন ভাসিং,
ধম্মং পণীতং মনুজেসু ব্রহ্মে। (মহাবগ্গ)