মানুষ মাত্র; সুতরাং তাহার সাধনার পথের সমস্ত বাধা তাহার নিকটে বিস্তৃত ভাবে বর্ণনা করিবার প্রয়োজন আছেই। ছোট ছোট দুর্ব্বলতাগুলি মানুষকে কতখানি দুর্ব্বল ও অসহায় করিয়া ফেলে লোক-শিক্ষক বুদ্ধ তাহা সম্যক জ্ঞাত ছিলেন বলিয়াই, তিনি গৃহত্যাগী ভিক্ষুকেও আচারে ব্যবহারে, আহারে-বিহারে কোন দিক্ দিয়া বিন্দুমাত্র অশিষ্ট বা উচ্ছৃঙ্খল হইতে দিতেন না। ভিক্ষর জীবনে কোন কার্য্যে শিথিলতা বা নিরুদ্যম প্রকাশ পাইবে না। ভিক্ষুকে সংঘের ও সমাজের মধ্যে সর্ব্বত্রই সমভাবে ভদ্র হইতে হইবে।
ধর্ম্মনৈতিক উচ্চ উপদেশের সঙ্গে সঙ্গে ভিক্ষুকে বিশেষ করিয়া বলা হইল যে, আর কোন ভিক্ষুর প্রতি দুর্ব্বাক্য ব্যবহার, কাহাকেও নিন্দা করা, কাহারও প্রতি অযথা দোষারোপ, ভিক্ষুমণ্ডলীর সহিত অকারণ বাগ্ বিতণ্ডা বা ছলনা ক্রোধের বশবর্ত্তী হইয়া কাহাকেও সংঘের আবাসস্থান হইতে বহিষ্কৃত করা কিংবা আঘাত করা তাঁহার পক্ষে নিষিদ্ধ। যখন অপর ভিক্ষুরা কলহ করেন তিনি আড়ালে থাকিয়া তাঁহাদের বিবাদ শুনিবেন না। কোন কার্য্যের আরম্ভে তিনি সম্মতি দিয়া পরে কখনো তাহাতে আপত্তি তুলিতে পারিবেন না। সংঘের ভিক্ষুরা যখন কোন প্রশ্নের মীমাংসার জন্য সম্মিলিত হইবেন তখন তিনি নিজের মত না জানাইয়া চলিয়া যাইতে পারিবেন না। যাহাতে সঙ্ঘে ভিক্ষুদের ভেদসংঘটন হইতে পারে, তিনি স্বয়ং এমন আচরণ করিবেন না, কিংবা অন্য কাহারো দৃষ্টি তেমন কোন বিষয়ে আকর্ষণ করিবেন না।
সংঘের সমস্ত দ্রব্যাদি সংঘবাসীদের সাধনার সম্পত্তি। সেইগুলি রক্ষার সম্বন্ধে ভিক্ষুকে উদাসীন হইলে চলিবে না। শয্যা, আসন, পীঠ প্রভৃতি কোন জিনিষ যদি তিনি রৌদ্রে বা বাতাসে বাহির করেন, কিম্বা অন্যের দ্বারা বাহির করাইয়া থাকেন, তাহা হইলে, সেগুলি তুলিয়া না রাখিয়া কিম্বা তোলাইবার ব্যবস্থা না করিয়া স্থানান্তরে যাইতে পারিবেন না। সংঘের অভ্যন্তরস্থ গৃহের শয্যা ও আসনগুলির