এই দিন স্থির হইল অপ্রাপ্ত-বয়স্ক ভিক্ষু কোন প্রবীণ ভিুক্ষকে উপাধ্যায় বরণ করিয়া শ্রেয়োলাভের সাধনা করিবেন। শ্রদ্ধায় ও নিষ্ঠায় এক হইয়া নবীন ও প্রবীণ ভিক্ষু পিতাপুত্রের ন্যায় পরস্পরের সহায় হইবেন ও শ্রদ্ধাপ্রীতিতে তাঁহাদের সম্বন্ধ মধুর হইয়া উঠিবে।
এইরূপে যে সার্দ্ধবিহারীর জন্য উপাধ্যায় গ্রহণের বিধি প্রবর্ত্তিত হইল, এই বিধি ভগবান্ বুদ্ধ করিয়াছেন তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু এই বিধি কি সঙ্ঘের শান্তশিষ্ট ভিক্ষুরা প্রার্থনা করেন নাই। জনপদবাসীদের অভিযোগের মধ্যেও কি এমনই একটী অভিলাষ ব্যক্ত ছিল না।
এমন করিয়া বৌদ্ধবিধিগুলির আলোচনা করিলে দেখা যায় যে, এই শাস্ত্রে বিধি-নিষেধের যে বিস্তৃত তালিকা আছে ভগবান্ বুদ্ধ তাহা প্রভুর ন্যায় সঙ্ঘের মাথায় বোঝার মত চাপাইয়া দেন নাই। বিধিগুলির প্রবর্ত্তনের ইতিহাসের মধ্যে দেশের লোকের ও সংঘের সাধদের অভিপ্রায় সস্পষ্ট অভিব্যক্ত আছে।