“বন্ধগণ ধর্ম্ম ও বিনয় ইহার মধ্যে কোন্টী আমরা প্রথমে আবৃত্তি করিব?”
ভিক্ষুগণ উত্তর করিলেন—“মাননীয় মহাকাশ্যপ, বিনয় বুদ্ধশাসনের আয়ু, বিনয় থাকিলে বুদ্ধশাসন থাকিবে, অতএব প্রথমে আমরা বিনয়েরই আবৃত্তি করি।”
সঙ্ঘস্থবির জিজ্ঞাসা করিলেন—“কে অগ্রবর্ত্তী হইবেন?”
আয়ুষ্মান্ উপালি।
কেন আনন্দ কি সমর্থ নহেন্? তিনি যে সমর্থ নহেন তাহা নহে, কিন্তু ভগবান্ জীবিত অবস্থাতেই বলিয়া গিয়াছেন যে বিনয়ধর (বিনয়জ্ঞ) সমূহের মধ্যে স্থবির উপালিই শ্রেষ্ঠ। অতএব তাঁহাকেই জিজ্ঞাসা করিয়া আমরা বিনয় আবৃত্তি করিব।
অনন্তর মহাকাশ্যপ উপালিকে প্রশ্ন করিলেন—“বন্ধু উপালি, ভগবান্ প্রথম পারজিক (বিনয় পিটকের অন্তর্গত প্রাতিমোক্ষের প্রথম নিয়ম) কোথায় বিধান করিয়াছিলেন?”
তিনি বলিলেন—বৈশালীতে।
মহাকাশ্যপ বলিলেন——কাহাকে লক্ষ্য করিয়া?
তিনি উত্তর করিলেন——কলন্দকপুত্ত্র সুদত্তকে। এইরূপে মহাকাশ্যপ এক একটি নিয়ম সম্বন্ধে যাহা কিছু জ্ঞাতব্য থাকিতে পারে তাহা প্রশ্ন করিতে লাগিলেন আর উপালি তাহার প্রত্যুত্তর প্রদান করিতে লাগিলেন। এই প্রণালীতে ক্রমশঃ সমগ্র মহাবিভঙ্গ, ভিক্খুনীবিভঙ্গ, খন্ধক (মহাবগ্গ ও চুল্লবগ্গ) ও পরিবার উল্লেখ করিয়া তাহার নাম ‘বিনয় পিটক’ করা হইল।
অনন্তর মহাকাশ্যপ ভিক্ষুগণকে জিজ্ঞাসা করিলেন—“কাহাকে অগ্রবর্ত্তী করিয়া ধর্ম্ম আবৃত্তি করিতে পারা যায়?” ভিক্ষগণ স্থবির আনন্দের নাম করিলেন।
মহাস্থবির মহাকাশ্যপ প্রশ্ন করিলেন—“ভগবান্, ব্রহ্মজালসুত্ত কোথায় কাহাকে কি জন্য কি প্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন?” আনন্দ তাহার যথাযথ উত্তর দিলেন। এইরূপে অন্যান্য সূত্র সম্বন্ধেও প্রশ্নোত্তর