কলা ও বিজ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হইত। রিসডেভিডস্ ও জর্জ্জ বুলার এইরূপ প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে, জাতকে ভগবান্ বুদ্ধের আবির্ভাব ও উহার পূর্ব্ববর্ত্তী সময়কার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা বর্ণিত হইয়াছে। সুতরাং এইরূপ বলা যায় যে, খৃষ্টপূর্ব্ব ষষ্ঠ ও সপ্তম শতাব্দীতে তক্ষশিলা পূর্ণগৌরবে বিদ্যমান ছিল। খৃষ্টপূর্ব্ব চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যভাগে যখন মহাবগ্গ সঙ্কলিত হইয়াছিল তখনও তক্ষশিলার গৌরব পূর্ব্ববৎ ছিল। খৃষ্টপূর্ব্ব প্রথম শতাব্দীতে এই নগর সাইথিয়ান রাজাদের রাজধানী ছিল।
রামায়ণ ও মহাভারতে তক্ষশিলার নাম আছে। এইরূপ উক্ত হইয়াছে যে, মহাবীর রামচন্দ্রের ভ্রাতা ভরতের পুত্ত্র তক্কের নাম হইতে এই নগরের নাম তক্ষশিলা হইয়াছে।
তক্ষশিলাকে বৌদ্ধগণ “তক্কসির” নামে অভিহত করেন। এইরূপ এক কিংবদন্তী আছে যে, বুদ্ধ কোনো এক জন্মে এইস্থলে আপনার শির দান করিয়া আত্মোৎসর্গ করিয়াছিলেন। পরিব্রাজক ফাহিয়েন এই কিংবদন্তী ব্যতীত তক্ষশিলা সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য অপর কোন কথা তাঁহার বিস্তৃত ভ্রমণ বৃত্তান্তে লিপিবদ্ধ করেন নাই। উয়ান চুয়াঙ্এর ভ্রমণ-বিবরণে প্রকাশ যে, তাঁহার ভ্রমণকালে তক্ষশিলায় অনেকগুলি বৌদ্ধ মঠ ছিল কিন্তু, তথায় অতি অল্পসংখ্যক মহাযান সম্প্রদায়ভুক্ত বৌদ্ধ বাস করিতেন।
মার্সল সাহেব তৎপ্রণীত “A Guide to Taxila” গ্রন্থে তক্ষশিলার স্তূপ ও বিহার সমূহের ধ্বংসাবশেষরাজির যে বিবরণ প্রদান করিয়াছেন তাহা পাঠ করিলে মনে হয় যে, তক্ষশিলা শিল্পে, ঐশ্বর্য্যে, ধর্ম্মে ও বিদ্যালোচনায় এককালে নিঃসন্দেহে অতি শ্রেষ্ঠ ছিল। তিনি লিখিয়াছেন,—“তক্ষশিলায় যে সকল ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহা দেখিতে হইলে ন্যূনকল্পে দুই দিনের দরকার।”
মহাবীর আলেক্জাণ্ডার যখন দেশজয়ার্থ ভারতবর্ষে আসিয়াছিলেন তখন তিনি তক্ষশিলা অধিকার করেন। সেই সময়ের গ্রীক