পাতা:বৌদ্ধ-ভারত.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষষ্ঠ অধ্যায়
৬১

উপায়ে অগ্নিদগ্ন হয় নাই। খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। চীনপরিব্রাজক উয়ান চুয়াঙ্ তৎপূর্ব্বে সপ্তম শতাব্দীতে যখন ভারতে আগমন করিয়াছিলেন তখন নালন্দা অক্ষুণ্ণ গৌরবে বিরাজিত ছিল।

অজন্তা

 খৃষ্টপূর্ব্ব কোন এক শতাব্দীতে সম্ভবতঃ কতিপয় বৌদ্ধ সাধু অজন্তার পার্ব্বত্য অঞ্চলে কয়েকটি স্বাভাবিক গুহা প্রাপ্ত হইয়া ছিলেন। তত্রত্য নৈসর্গিক শোভা সাধনার অনকূল বলিয়া তাঁহারা তথায় বাস করিয়া নিভৃত সাধনার শান্তি উপভোগ করিতেন। কালক্রমে ইঁহাদের খ্যাতি দেশমধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। বহু বদান্য ব্যক্তি তখন অজন্তার গুহাখননে আনুকুল্য করিতে লাগিলেন। এইরূপে তথায় অনেকগুলি গুহা খনিত হইল। উত্তরকালে অজন্তা ভারতের অন্যতম বিদ্যাশিক্ষার কেন্দ্র হইয়া উঠিল। অজন্তার অনেকগুলি গুহায় অধ্যাপক ও বিদ্যার্থীরা বাস করিতেন।

সারনাথ

 অতি প্রাচীনকাল হইতেই বারাণসী শিক্ষা ও ধর্ম্মালোচনার প্রসিদ্ধ কেন্দ্র ছিল। সকল মতাবলম্বী সাধুগণ এখানে স্ব ধর্ম্মমতের প্রাধান্য কীর্ত্তন করিতে আসিতেন। ভারতের হৃদ্‌পিণ্ডতুল্য এই কেন্দ্রভূমিতে যে সত্য জয়যুক্ত হইত তাহা নিখিল ভারতের সর্ব্বত্র অবলীলাক্রমে প্রসারিত হইয়া পড়িত। ভগবান্ বুদ্ধ বোধিলাভ করিয়া এই পণ্যভূমিতেই তাঁহার নবধর্ম্ম প্রচারকল্পে আগমন করিয়াছিলেন। কালক্রমে বারাণসী ও তন্নিকটবর্ত্তী সারনাথ বৌদ্ধধর্ম্মের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়। সারনাথ যে একদিন বৌদ্ধ সাধুদের তপস্যা ও বিদ্যাদানের প্রসিদ্ধ স্থল ছিল তাহাতে আর কোন